দরুদ পাঠের ফজিলত । আনন্দদায়ক কিছুর সম্মুখীন হলে
দরুদ পাঠের ফজিলত । আনন্দদায়ক কিছুর সম্মুখীন হলে << হিসনুল মুসলিম এর মুল সুচিপত্র দেখুন
১০৬. আনন্দদায়ক অথবা অপছন্দনীয় কিছুর সম্মুখীন হলে যা বলবে
২১৮- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে যখন আনন্দায়ক কোনো বিষয় আসত তখন তিনি বলতেন,
«الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي بِنِعْمَتِهِ تَتِمُّ الصَّالِحَاتُ»
(আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী বিনি‘মাতিহী তাতিম্মুস সা-লিহা-ত)।
“আল্লাহর জন্য সমস্ত প্রশংসা, যাঁর নি‘আমত দ্বারা সকল ভাল কিছু পরিপূর্ণ হয়।”
আর যখন তার কাছে অপছন্দনীয় বিষয় আসত, তখন তিনি বলতেন,
«الْحَمْدُ لِلَّهِ عَلَى كُلِّ حَالٍ».
(আলহামদুলিল্লা-হি ‘আলা কুল্লি হাল)
“সকল অবস্থায় যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য।”[1]
১০৭. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর দুরূদ পাঠের ফযীলত
২১৯-(১) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দুরূদ পাঠ করবে, তার বিনিময়ে আল্লাহ তার ওপর দশবার দুরূদ পাঠ করবেন।”[2]
২২০-(২) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, “তোমরা আমার কবরকে ঈদ তথা সম্মিলনস্থলে পরিণত করবে না, আর তোমরা আমার ওপর দুরূদ পাঠ কর; কেননা তোমাদের দুরূদ আমার কাছে পৌঁছে যায়, তোমরা যেখানেই থাক না কেন।”[3]
২২১-(৩) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, “যার সামনে আমার নাম উল্লেখ করা হলো অতঃপর সে আমার ওপর দুরূদ পড়লো না, সে-ই কৃপণ।”[4]
২২২-(৪) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, “পৃথিবীতে আল্লাহর একদল ভ্রাম্যমাণ ফিরিশতা রয়েছে যারা উম্মতের পক্ষ থেকে প্রেরিত সালাম আমার কাছে পৌঁছিয়ে দেয়।”[5]
২২৩-(৫) রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, “যখন কোনো ব্যক্তি আমাকে সালাম দেয়, তখন আল্লাহ আমার রূহ ফিরিয়ে দেন, যাতে আমি সালামের জবাব দিতে পারি।”[6]
[1] হাদীসটি সংকলন করেছেন, ইবনুস সুন্নী, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল-লাইলাহ, নং ৩৭৭; হাকেম এবং তিনি একে সহীহ বলেছেন, ১/৪৯৯। আর শাইখ আলবানী তাঁর সহীহুল জামে‘ ৪/২০১।
[2] হাদীসটি সংকলন করেছেন, মুসলিম ১/২৮৮, নং ৩৮৪।
[3] আবূ দাউদ ২/২১৮, নং ২০৪৪; আহমাদ ২/৩৬৭, নং ৮৮০৪। আর শাইখ আলবানী একে সহীহ আবি দাঊদে ২/৩৮৩, সহীহ বলেছেন।
[4] তিরমিযী, ৫/৫৫১, নং ৩৫৪৬, ইত্যাদি। আরও দেখুন, সহীহুল জামে‘ ৩/২৫; সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৭৭।
[5] নাসাঈ, ৩/৪৩, নং ১২৮২; হাকেম, ২/৪২১। আর শাইখ আলবানী একে সহীহুন নাসাঈ ১/২৭৪, সহীহ বলেছেন।
[6] আবূ দাউদ, নং ২০৪১। আর শাইখ আলবানী সহীহ আবি দাউদে ১/৩৮৩, একে হাসান হাদীস বলেছেন।