তাফহীমুল কুরআনের ভূমিকা ৭ম খন্ড – সুরা হিজর, নাহল, বনী ইসরাইল ও কাহাফ
তাফহীমুল কুরআন pdf download সুরা হিজর, নাহল, বনী ইসরাইল ও কাহাফ
সুরা হিজর – বিষয়বজ্তু ও কেন্দ্রীমম আন্োোচ্য বিহ্বক্স
এই দু”টি বিষয়বন্তুই এ সূরায় আলোচিত হয়েছে। অর্থাৎ নবী সান্লান্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লামের দাওয়াত যারা অস্বীকার করছিল, যারা তাকে বিবৃপ করছিল এবং তাঁর কাজে
ন’না প্রকার বাধার সৃষ্টি করে চলছিল, তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। আর খোদ নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সান্তনা ও সাহস যোগানো হয়েছে। কিন্তু এর মানে এই
নয় যে, বুঝাবার ও উপদেশ দেবার ভাবধারা নেই। কুরআনে আল্লাহ শুধুমাত্র সতর্কবাণী
উচ্চারণ বা নির্ভেজাল ভীতিপ্রদর্শনের পথ অবলম্বন করেননি: কঠোরতম হুমকি ও ভীতি
প্রদর্শন এবং তিরঙ্কার ও নিন্দাবাদের মধ্যেও তিনি বুঝাবার ও নসীহত করার ক্ষেত্রে
কোন কমতি রাখেননি। এ জন্যই এ সুরায়ও একদিকে তাওহীদের যুক্রি-প্রমাণের প্রতি
সংক্ষেপে ইর্থগীত করা হয়েছে এবং অন্যদিকে আদম ও ইবলীসের কাহিনী শুনিয়ে
উপদেশ দানের কার্যও সমাধা করা হয়েছে।
নাহল – বিষয়বন্তু ও কেন্দ্রীপস আলোচ্য বিষক্স
শিরককে বাতিল করে দেয়া, তাওহীদকে সপ্রমাণ করা, নবীর আহবানে জাড়া না
দেবার অণ্ুভ পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করা ও উপদেশ দেয়া এবং হকের বিরোধিতা ও )
তার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার বিরুদ্ধে তাঁতি প্রদর্শন করা এ বিষয়বস্তু ও
কেন্দ্রীয় আলোচ্য বিষয়।
বনী ইসরাইল – বিঅযসবন্তু ও আলোচ্য বিষ্ক্স
এ সূরায় সতর্ক করা, বুঝানো ও শিক্ষা দেয়া এ তিনটি কাজই একটি আনুপাতিক
সতর্ক করা হয়েছে মন্কার কাফেরদেরকে। তাদেরকে বলা হয়েছে, বনী ইস্রাঈল ও
অন্য জাতিদের পরিণাম থেকে শিক্ষা গ্রহণ করো। আল্লাহর দেয়া যে অবকাশ খতম হবার
সময় কাছে এসে গেছে তা শেষ হবার আগেই নিজেদেরকে সামলে নাও। মুহাম্মাদ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও কুরআনের মাধ্যমে যে দাওয়াত পেশ করা হচ্ছে তা
খ্রহণ করো। অন্যথায় তোমাদের ধ্বংস করে দেয়া হবে এবং তোমাদের জায়গায় অন্য
লোকদেরকে দুনিয়ায় আবাদ করা হবে। তাছাড়া হিজরাতের পর যে বনী ইস্রাঈলের
উদ্দেশ্যে শীঘই অহী নাধিল হতে যাচ্ছিল পরোক্ষতাবে তাদেরকে এভাবে সতর্ক করা
হয়েছে যে, প্রথমে যে শাস্তি তোমরা পেয়েছো তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করো এবং এখন
মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুওয়াত লাভের পর তোমরা যে সুযোগ
পাচ্ছো তার সদ্বহার করো। এ শেষ সুধোগটিও যদি তোমরা হারিয়ে ফেলো এবং
এরপর নিজেদের পূর্বতন কর্মনীতির পুনরাবৃত্তি করো তাহলে ভয়াবহ পরিণামের সম্মুখীন
হবে।
মানুষের সৌভাগ্য ও দুর্ভাগা এবং কলাণ ও অকল্যাণের ভিত্তি আসনে কোন্ কোন্
জিনিসের ওপর রাখা হয়েছে, তা অত্যন্ত হৃদয়গ্াহী পদ্ধতিতে বুঝানো হয়েছে। তাওহীদ,
পরকাল, নবুওয়াত ও কুরআনের সত্যতার প্রমাণ পেশ করা হয়েছে। মক্তার কাফেরদের
পক্ষ থেকে এ মৌলিক সত্যগুলোর ব্যাপারে যেসব সন্দেহ-সংশয় পেশ করা হচ্ছিল
সেগুলো করা হয়েছে। দলীল-প্রমাণ পেশ করার সাথে সাথে মাঝে মাঝে
অজ্ঞতার জন্য তাদেরকে ধমকানো ও ভয় দেখানো হয়েছে।
শিক্ষা দেবুর পর্যায়ে নৈতিকতা ও সভ্যতা-সংস্কৃতির এমনসব বড় বড় মূলনীতির
বর্ণনা করা হয়েছে যেগুলোর ওপর জীবনের সমগ্র ব্যবস্থাটি প্রতিষ্ঠিত করাই ছিল
মুহাম্মাদ সার্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের দাওয়াতের প্রধান লক্ষ্য। :প্রটিকে- ইসলামের
ঘোষণাপত্র বলা যেতে পারে। ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার এক বছর আগে ‘আরববাসীদের
সামনে এটি পেশ করা হয়েছিল। এতে সুস্পষ্টভাবে বলে দেয়া হয়েছে যে, এটি একটি নীল
নকৃশা এব ‘এ নীল নক্শার ভিত্তিতে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজের
দেশের মানুষের এবং তারপর সমগ্র বিশ্ববাসীর জীবন গড়ে তুলতে চান।
এসব কথার সাথে স্মথেই আবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হেদায়াত
করা হয়েছে যে, সমস্যা ও সংকটের প্রবল ঘূর্ণাবর্তে মজবৃতভাবে নিজের অবস্থানের ওপর :
টিকে থাকো এবং কুফরীর সাথে আপোশ করার চিন্তাই মাথায় এনো না। তাছাড়া
মুসলমানরা যাদের যন কখনো কখনো কাফেরদের জুলুম, নিপীড়ন, কুটতর্ক এবং
লাগাতার মিথ্যাচার ও মিথ্যা দোষারোপের ফলে বিরক্তিতে ভরে উঠতো, তাদেরকে ধৈর্য
ও নিশ্িন্ততার সাথে অবস্থার মোকাবিলা করতে থাকার এবং প্রচার ও সংশোধনের কাজে
নিজেদের আবেগ-অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার উপদেশ দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে
আত্সংশোধন ও আত্মসত্ঘমের জন্য তাদেরকে নামাযের ব্যবস্থাপত্র দেয়া হয়েছে। বলা
হয়েছে, এটি এমন একটি জিনিস যা তোমাদের সত্যের পথের মুজাহিদদের যেসব উন্নত
গুণাবলীতে বিভূষিত হওয়া উচিত তেমনি ধরনের গুণাবলীতে ভূষিত করবে। হাদীস
থেকে জানা যায়, এ প্রথম পাঁচ ওয়াক্ত নামায মুসলমানদের ওপর নিয়মিতভাবে ফরয
করা হয়।