তাফসীর ইবনে আব্বাস ১ম খন্ড – হযরত আব্দুল্লাহ ইবনি আব্বাস (রা)
তাফসীর ইবনে আব্বাস ১ম খন্ড – হযরত আব্দুল্লাহ ইবনি আব্বাস (রা) >> তাফসীরে ইবনে আব্বাস এর মুল সুচিপত্র দেখুন
সূচিপত্র – তাফসীর ইবনে আব্বাস ১ম খন্ড
- ভুমিকা ১০
- সুরা ফাতিহা ১১
- সুরা বাকারা ১৫
- সুরাআলে-ইমরান -__ ২ ১৪১
- সূরা নিসা ২১৬
- সূরা মায়িদা ২৯৫
- সুরা আন’আম ৩৫২
- সুরা আরাফ ৪১৮
- সুরা আনফাল ৪৮৭
- সুরা তাওবা ৫১৩
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনি আব্বাস (রা) সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
আবদুল্লাহ ইব্ন আববাস (রা)। তার উপাধি আল-হিবর (বো হিবরুল উম্মাহ) অর্থাৎ মহাজ্ঞানী বা
‘আল-বাহ্র অর্থাৎ সাগর। কারণ তিনি ছিলেন একজন বিশিষ্ট ফকীহ ও মুফাসৃসির। ইনি আবদুল্লাহ নামক
পাচজন বিশিষ্ট সাহাবীর অন্যতম । তিনি হযরত মুহাম্মদ গর -এর গিতৃব্য-পুত্র ছিলেন। উম্মুল ঘু’মিনীন
মায়মুনা (রা) তার আপন খালা ছিলেন।
প্রথম যুগের মুসলিমদের মধ্যে তাকে সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী বলা না গেলেও নিঃসন্দেহে অন্যতম শ্রেষ্ঠ আলিম ও
ইসলাম ধর্মবিশারদ বলে মনে করা হত। কুরআন করীমের তাফসীরের ক্ষেত্রে তার অসাধারণ গজ্ঞা, দক্ষতা ও
অরতদৃষ্টির দরুন তাকে রঈসুল মুফাস্সিরীন অর্থাৎ তাফসীরকারদের প্রধান বলে অভিহিত করা হত; তিনি
এমন এক সময়ে কুরআন করীমের ব্যাখ্যা দানে আত্মনিয়োগ করেন, যখন মুসলিম সমাজে যুগ-জিজ্ঞাসার
প্রেক্ষিতে কুরআন করীমের সঠিক ব্যাখ্যা প্রদানের তীব্র গ্রয়োজনীয়তা দেখা গিয়েছিল। তিনি অত্যন্ত দক্ষতা ও
যোগ্যতা সহকারেই এই বিরাট দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
হিজরতের তিন বছর পূর্বে আবদুল্লাহ ইব্ন আব্বাস (রো) মন্কায় জন্মগ্রহণ করেন। সে সময় ভার গোত্র
বানু হাশিম শি’ব আবূ তালিবে অস্তরীণ অবস্থায় জীবন-যাপন করছিলেন । তীর মাতা লুবাবাঃ বিন্তুল হারিছ
হিজরতের পূর্বেই ইসলাম এহণ করেছিলেন। সেহেতু তাকে আশৈশব মুসলিম বলে গণ্য করা হয়।
বাল্যকাল হতেই তার মধ্যে অনরা্ত জ্ঞান সাধনা ও গবেষণার প্রেরণা পরিলক্ষিত হয় । অতি শীঘ্র তার
মনে এই ধারণা জন্মলাভ করে যে, সাহাবীগণের নিকট জিজ্ঞাসাবাদ করে হযরত মুহাম্মদ কর এর সম্পর্কে
জান সঞ্চয় করা উচিত । অল্প বয়সেই তিনি শিক্ষকের মর্যাদা লাভ করেন এবং জ্ঞান-পিপাসু শিক্ষার্থীরা তার
চতুষপর্থে একত্রিত হতে থাকে। কেবল স্মৃতি শক্তিই তার জ্ঞান-গরিমার ভিত্তি ছিল না বরং তার নিকট বিভিন্ন
বিষয়ের লিখিত সংকলনের এক বিরাট সপতারও মওজুদ ছিল। নিষ্ষ্ট সময়সূচী অনুসারে সপ্তাহের বিভিন্ন দিনে
বিভিন্ন বিষয়ে যথাঃ তাফসীর, ফিকৃহ, হযরত মুহাম্মদংগ্রহঃ -এর গাযওয়ার বিষয়াদি, ইসলাম-পূর্ব যুগের
ইতিহাস, প্রাচীন আরবী কাব্য) বক্তৃতাও দান করতেন। কুরআন করীমের শব্দ ও বাক্য ধারা ব্যাখ্যা দান
রঙ্গ স্বীয় বক্তব্যের সমর্থন রাচীন আরব কবিদের কাব্য হতেও উদ্ধৃতি দান তার রীতি ছিল। এই রীতি
- অনুসরণের ফলে আলিমদের মধ্যে প্রাচীন আরবী কাব্যে গুরুত্ব স্বীকৃতি লাভ করে। তিনি যেহেতু একজন
সুবিজ্ঞ ফিক্হবিদ ছিলেন, সেহেতু সাধারণ লোকগণ তীর নিকট হতে বিভিন্ন বিষয়ে ফাতওয়া গ্রহণ করত।
বহু গুরুত্বপূর্ণ ফাতওয়া দানের জন্য তিনি অতিশয় পরসিদ্ধি লাভ করেন। কিছু ফাতওয়ার সমর্থনে পরে তাকে
প্রমাণ পেশ করতে হয়েছিল। কুরআনের মর্ম সম্পর্কে তার বভ্ব্য ও ভাষ্যসমূহ একত্রিত করে পরবর্তীকালে
কতিপয় সংকলনও প্রস্তুত করা হয়েছে। তার সরাসরি শাগরিদগণের কোন না কোন জনের সাথে & ভাব্যের
সনদ সম্পর্কিত রয়েছে। তার ফাত্ওয়াসমূহের সংকলনও প্রস্তুত করা হয়েছিল। & সম্ত তাফসীরের বিভিন্ন
হস্তলিবিত কপি বা মুদ্রিত কপি আজও বিদ্যান। তবে এই সংকলনগুলোর নির্ভরযোগ্যতা সম্পর্কে প্ভিত
মহলে কিছু মততেদ রয়েছে।
ইব্ন আব্বাস (রা) বাল্যকাল হতে হযরত মুহাম্মদ -এর ইন্তিকাল পর্যন্ত ৮/১০ বছর তার সান্িখ্যে
কাটিয়েছিলেন। হযরত মুহাম্মদ এর ইন্তিকালের পর তিনি খ্যাতনামা সাহাবীগণের সাহচর্য লাভ করেন
এবং তাদের নিকট হতে হযরত মুহাম্মদ -এর হাদীস শ্রবণ ও কণ্ঠস্থ করার বিশেষ প্রয়াস পান। হাদীস
্রন্থদমূহে তার ১৬৬০টি হাদীস স্থান লাভ করেছে। সদ্যাবহার, গাীর্য, সহিষ্কুতা এবং আল-কুরআন সম্পর্কে
অগাধ পান্তিত্য ইত্যাদির কারণে উমর (রা) তাকে অত্যন্ত মর্ধাদা দিতেন, কঠিন সমস্যায় তার সাথে পরামর্শ
করতেন এবং অধিকাংশ সময় তার পরামর্শ অনুসারে কাজ করতেন। তিনি বলতেন $ ইব্ন আব্বাস
তোমাদের সকলের অপেক্ষা বড় বিদ্বান। উমর (রা) তীর সম্পর্কে আরও বলতেন যে, বয়সে তরুণ, জ্ঞানে
প্রবীণ, তিনি জিজ্ঞাসু রসনা ও বুদ্ধিদীপ্ত মনের অধিকারী । তার সম্পর্কে আলী (রা) উক্তি করেছেন $ কুরআনে
করীমের তাফ্নীর বর্ণনার সময় মনে হয় যেন তিনি একটি স্বচ্ছ পর্দার অন্তরাল হতে অদৃশ্য বন্তুমূহ প্রত্যক্ষ
করছেন। ইব্ন মাসউদ (রা) বলতেন ৪ ইনি কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষ্যকার । ইব্ন উমর (রা) বলতেন £
হযরত মুহাম্মদ এর উপর যা কিছু অবতীর্ণ হয়েছে তৎসম্পর্কে ইবৃন আব্বাস এই উদ্মাতের মধ্যে
সর্বাপেক্ষা জ্বানী। মুহাম্মদ হুসায়ন আহ্-যাহাবী (আত-তাফসীর ওয়াল মুফাস্সিরন, ১৭. ৬৫প-) ইব্ন
আব্বাসের বিদ্যাবস্তার পাচটি কারণ বর্ণনা করেছেন ৪ ১. হযরত মুহাম্মদ শু নিজে তার জনা এই দু’আ
করেছিলেন- হে আল্লাহ্ ! তুমি তাকে কিতাব ও হিকমার জ্ঞান, দীন সম্পর্কে অনুধাবন এবং কুরআন ভাষ্যের
প্রজ্ঞা দান কর। ২. নবী-পরিবারে তর প্রশিক্ষণ লাভ। ৩. বড় বড় সাহাবীগণের সংসর্গ লাত। ৪. অসাধারণ
স্মরণ শক্তি এবং আরবী ভাষা ও সাহিত্যের অগাধ জ্ঞান। তিনি বিখ্যাত আরব কৰি উমর ইব্ন আবী রাবীআ
রচিত কাসীদার আশিটি পঙক্তি মাত্র একবার শুনে যুশস্থ করে ফেলেছিলেন (ত্বাল-মুবাররাদ, আল-কামিল,
বাব আধবারুল খাওয়ারিজ)। ৫. তিনি ইজতিহাদের যোগ্যতা লাভ করেছিলেন ।
সুসলিম বাহিনীর সাথে বহু জিহাদে তিনি শরীক হয়েছেন। জুরজান ও তাবারিস্তানে (৩০/৬৫০) এবং বহু
পরে জঙ্গে জামাল উউনযুদ্ধ ৩৬/৬৫৬)-এর এবং সিফৃফীন (৩৭/৬৫৭)-এর তিনি আলী (রা)-এর সেনাদলের
একটি বাহুর সেনাপতি ছিলেন । তিনি দ্বিতীয় খলীফা উমর (রা) ও তৃতীয় খলীফা উসমান (রা)-এর বিশেষ
পরামর্শদাতা ছিলেন। উভয়ই তার অত্যন্ত মর্যাদা দিতেন। আলী (রা) এবং তৎপুত্র আল-হুসাইন (রা)-এরও
তিনি পরামর্শদাতা ছিলেন। তীর পরামর্শকে বিশেষ গুরুত্ দেয়া হত। আলী (রা) খলীফা মনোনীত হওয়ার
পূর্ব পর্যন্ত ইবূন আব্বা (রা) রাজনীতিতে প্রত্যক্ষ কোন ভূমিকা গ্রহণ করেন নি। আলী (রা)-এর
খিলাফতকালেও শুধু তিন অথবা চার বছর কাল রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন। উসমান (রা)
যখন বিদ্রোহীদের দ্বরা মদীনায় স্থীয় গৃহে অবরুদ্ধ ছিলেন, সেই বছর ইব্ন আব্বাসকে আমীরুল হাজ্জ নিযুক্ত
করা হয়েছিল, এই কারণে উসমান (রা)-এর শাহাদাতকালে তিনি মদীনায় অনুপস্থিত ছিলেন। এর কিছুদিন
পর মদীনার ুত্যাবর্তন করে আলী (রা)-এর নিকট আনুগত্যের (বায়আত) শপথ গ্রহণ করেন।
আল-হাসান (রা) তাকে স্বীয় সেনাবাহিনীর সেনাপতি নিযুক্ত করেন। এই সময় তিনি আমীর মু’আবিয়া
(রা)-এর সন্ধির প্রচেষ্টা চালান। কিন্তু এটা স্পষ্ট নয় যে, ইব্ন আববাস (রা) এই প্রচেষ্টা নিজেই শুরু
করেছিলেন অথবা আল-হাসান (রা)-এর নির্দেশে তা করেছিলেন। খুব সম্ভব, ইবৃন আব্বাস (রা) নিজেই
হিলাফতের এই দুই প্রতিদন্ীর মধ্যে ন্ি স্থাপন করে দিয়েছিলেন। আমীর মু’াবিয়া (রা)-এর সুদীর্ঘ
রাজত্বকালে ইব্ন আববাস (রা) হিজাযেই অবস্থান করতে থাকেন।
আলী রো)-এরইততিকালের পর যে সকল অবারিত ঘটনা ঘটে সহ্ধবত সেগলো ইবন আববাস (কে
পরায় রাজনৈতিক মঞ্চে টেনে আনে। শেষ বয়সে তীর দৃষ্টিশভি বিনষ্ট হয়ে গিয়েছিল। জীবনে বাকী
দিনগুলো ভিনি তাইফে অভিবাহিত করেন এবং সেখানেই ৬৮ (৬৮৭) বছর বয়সে ই্তিকাল করেন।
ইবনআবাস রো) সাহাবীপণকে অত সা প্রদান করতেন। ভিন সরা লী থাকাকালে আৰ্
আযাব আনসারী (রা) একদা ভীর নিকট স্বীয় অভাবের কথা ব্যক্ত করেন। আবু আত্যব মদীনায় স্ব
হত মহান 3১১-এর মেহমানদারী করেছিলেন, সেই কৰা স্মরণ করে ইব্ন আববান (রা) উদার হতে
তাকে সাহায্য করেছিলেন। চন্তিশ হাজার দিরহাম (রৌপ্য মুনা) এবং বিশজন খাদিম ও গৃহের সমস্ত
তৈজসপত্র তিনি তাকে দিয়েছিলেন (সিয়রু আ.লামিন নুবালা, ৩৭, ২৩৬)।
তাফসীর ইবনে আব্বাস ১ম খন্ড বইটি আপনার প্রয়োজন হলে নিচে Leave a Reply এ গিয়ে Comment করুন । Enter your comment here… এখানে বিস্তারিত লিখুন, তাহলে আমরা আপনাকে বইটি পাঠিয়ে দিব, ইনশাআল্লাহ।
সকল খন্ড চায়
I need tafsire ibne abbass all parts
আমি অনেক দিন থেকেই তাফসীর ইবনে আব্বাস এর পিডিএফ কপি খুঁজছিলাম। যদি তিনটি খন্ডেরই পিডিএফ মেইলে পাই খুবই উপকৃত হব। মহান আল্লাহ আপনাকে এর উত্তম প্রতিদান দিবেন।
আমাকে সকল খন্ড পাঠাবার ব্যবস্থা করলে উপকৃত হব।
Assalamualaikum, আমাকে তাফসির ইবনে আব্বাস (রা) সকল খন্ড পাঠানোর ব্যবস্থা করলে অনেক উপকৃত হব।
সকল খন্ড pdf চাই।
আপনাকে ইমেইল এ পাঠানো হবে ইনশাল্লাহ
আমাকে সকল খন্ড পাঠাবার ব্যবস্থা করলে উপকৃত হব।
আমাকে সকল খন্ড পাঠাবার ব্যবস্থা করলে উপকৃত হব।
তাফসীর ইবনে আব্বাস ১ম খন্ড,২য়, ৩য়………লাগবে । মোট কয় খন্ড ?