তাফসীরে তাবারী / ইবনে জারীর Tafsir Tabari Bangla

তাফসীরে তাবারী শরীফ ডাউনলোড

তাফসীরে তাবারী শরীফ ডাউনলোড করা ছারাও পড়তে পারেন কোরআন শরিফের তাফসির। ২০ টির অধিক তাফসীর ডাউনলোড ও পবিত্র কোরআন শরীফ এর ১১৪ টি সুরা বাংলা অনুবাদ ও mp3 সহ

তাফসীরঃ তাফসীরে ইবনে জারীর (তাফসীরে তাবারী)
তাফসীর পরিচিতিঃ তাফসীরে তাবারী
লেখকঃ আল্লামা আবূ জাফর মুহাম্মদ ইবন জারীর তাবারী
সম্পূর্ণ নামঃ আবু জাফর মুহাম্মদ ইবনে জারির আল তাবারি
জন্মস্থানঃ বাগদাদ
জন্মঃ ২২৪ হিজরি
মৃত্যুঃ ৩১০ হিজরি
প্রকাশনীঃ

তিনি ছিলেন ইরানের অন্তর্গত মাজানদারানের তাবারিস্তানের একজন খ্যাতনামা পারসিয়ান, পণ্ডিত, ইতিহাসবিদ ও মুফাসসির। ইসলামি ইতিহাসের উপর তার পান্ডিত্যের কারণে বর্তমানকালেও তিনি সমাদৃত। তিনি কাব্য, অভিধান, ব্যাকরণ, গণিত ও চিকিৎসাবিজ্ঞান, নীতিশাস্ত্র নিয়েও লিখেছেন।

তার উল্লেখযোগ্য ও পরিচিত কর্ম হল তাফসির আল তাবারি এবং তার ঐতিহাসিক গ্রন্থ তারিখ আল রসুল ওয়াল মুলুক (ইংরেজিতে “হিস্ট্রি অব দ্য প্রফেটস এন্ড কিংস’’ বলে পরিচিত) যা তারিখ আল তাবারি নামে ডাকা হয়। তিনি তার নিজস্ব মাজহাব স্থাপন করেন যা সাধারণত তার নাম অনুসারে জারিরি বলা হয়।

তাফসীরে তাবারী শরীফ ক্রয় বিক্রয়

প্রকাশনীসুচিপত্রমুল্য
ইসলামিক ফাউন্ডেশন১ম খন্ড৫৫০০
(সকল খন্ড)
ইসলামিক ফাউন্ডেশন২য় খন্ড.
ইসলামিক ফাউন্ডেশন৩য় খন্ড.
ইসলামিক ফাউন্ডেশন৪রথ খন্ড.
ইসলামিক ফাউন্ডেশন৫ম খন্ড.
ইসলামিক ফাউন্ডেশন৬ষ্ঠ খন্ড.
ইসলামিক ফাউন্ডেশন৭ম খন্ড.
ইসলামিক ফাউন্ডেশন৮ম খন্ড.
ইসলামিক ফাউন্ডেশন৯ম খন্ড৪০০ক
এখানে অর্ডার করুনঃ ⓕ পেমেন্টঃ বিকাশ-01817043086/ রকেট-017702698265.

সুচিপত্র – তাফসীরে তাবারী ১ম খন্ড

ভূমিকা

কুরঙান মজীদ আরবদের মধ্যে চলিত ভাবায় নাহিন হয়েছে

কুরআন বেহেশতের সাত দরগায় নামিল হয়েছে

কুরআন বাথ্যার জন্য সহায়ক কতিগয় পূর্বক

কুরআন ব্যাখ্যার মূল তাত্পর্ব সংক্রান্ত আলোচনায় আমাদের বক্তব্য

বনের মগ যথা করা নিষিদ্ধ হওয়া সম্পর্কিত কতিপয় হাসীস

কুরআন ব্যাখ্যা সং্রা্ত ইল্ম এবং সুফাসসির সাহাবীগণের কতিপয় বর্ণনা

কুরমানের তাফসীর এবং কতিপয় হাদীসের ব্যাখ্যায় তাফসীর অস্বীকারকারী

ইলমে তাফসীরের কে প্রশংসিত এবং অপ্রশংসিত প্রাচীন তাফদীরকারণের

“সূরা কাতিহার নামসমূহের ব্যাখ্যা

আল্লাহ্‌ পাকের আশ্রয় চাওয়ার ব্যাখ্যা

বিসমিদ্লাহির রাহমানির রাহীম-এর ব্যাখ্যা

আল্লাহ্‌ শব্দের ব্যাথ্যা

আর-রাহমান আর-রাহীম-এর ব্যাখ্যা

সূরা ফাতিহার ব্যাখ্যা

“রব, শব্দের ব্যাখ্যা

১. সূরা ফাতিহা

আল-আলামীন শব্দের ব্যাখ্যা

কর্মফল দিবসের মালিক

ইওয়ামিদ্দীন-এর ব্যাখ্যা

আমরা শুধু তোমারই ইবাদত করি

আমাদের সরল পথ দেখাও

শপ ‘ম অনুধহ দান করেছ

যারা ক্রোধনিপতিত নয় এবং পৎ্র্টও নয়

২. সূরা বাকারা

আয়াত

১- আলিফ-লাম-মীম-এর ব্যাখ্যা

২. এটা সেই কিতাব

৩- তারা নামায কায়েম করে

৪. সালাত-এর ব্যাখ্যা

৫. তারাই হেদায়াতের উপর প্রতিঠিত

৬. যারা নাফরমানী করেছে

৭. অল্লাহ তাদের অভ্তকরণ … মোহরাফিত করে দিয়েছেন

৮. এমনও কিছু লোক রয়েছে যারা বলে, আমরা ঈমান এনেছি

৯. আল্লাহ্‌ ও মুমিনগণকে তারা প্রতারিত করতে চায়

১০- তাদের অন্তরে ব্যাধি রয়েছে

১১- তোমরা পৃথিবীতে বিশৃহ্না সৃষ্টি কর না

১২- এরাই অশাস্তি সৃষ্টিকারী

১৩ যেসব লোক ঈমান এনেছে তোমরাও তাদের মত ঈমান আন

১৪ যখন তারা মুমিনদের সংস্পর্শে আসে তখন বলে, আমরা ঈমান এনেছি

১৫. আল্লাহ্‌ তাদের সাথে তামাশা করেন

১৬. রাই হেদায়াতের বিনিময়ে ভাসত ত্র করেছে

১৭- তাদের উদাহরণ-যেমন এক ব্যক্তি আগুন জ্বালাল

১৮. তারা বধির, মুক ও অন্ধ

১৯- অথবা যেমন আকাশের বর্ষণমুখর ঘন মেঘ

২০ বিদ্যৃতচমক তাদের দৃষ্টিশক্তি প্রায় কেড়ে নেয়

২১. হে মানুষ! তোমাদের প্রতিপালকের ইবাদত কর

২. খিনি পৃথিবীকে তোমাদের জন্য বিছানা ও আকাশকে ছাদ করেছেন

৩. আমি যা নাথিল করেছি তাতে তোমাদের সন্দেহ থাকলে

৪. যদি তোমরা তা না কর এবং কথনও করতে পারবে না

৫. যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করে তাদের সুসংবাদ দাও

২৭. যারা সৃঢ় অতগীকারে আবদ্ধ হওয়ার পর তা ভগ করে

২৮. তোমরা কিরূপে আল্লাহকে অস্বীকার কর?

২৯. তিনি পৃথিবীর সবকিছু তোমাদের জন্য সৃষ্ঠি করেছেন

:১৩০. আমি পৃবিষীতে প্রতিনিধি সৃষ্টি করছি

৩১. তিনি আদমকে যাবতীয় নাম শিখিয়ে দিলেন

৩৩. হে আদম! তুমি তাদেরকে এসবের নাম বলে দাও

৩৪. যখন আমি ফেরেশতাদের বললাম, আদমকে সিজদা কর

১৩৫, হে আদম! তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস কর

৩৬. কিন্তু শয়তান তাদের পদশ্থলন ঘটালো

৭. আদম কিছু বাণী প্রাপ্ত হলো

৩৮. তোমরা সকলে এখান থেকে নেমে যাও

৩৯, যারা কুফরী করে এবৎ আমার আয়াতসমূহ মিথ্যা জ্ঞান করে

৪০. হে বনী ইসরাঈল ! আমার নিআমত স্বরণ কর

৪১. আমি যা নাবিল করেছি তা বিশ্বাস কর

২. তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত কর না

৪৩. তোমরা চ কায়েম কর

৪৪. তোমরা মানুষকে সৎকাজের নির্দেশ দাও

8৫. তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর

৪৬. তাদের প্রতিপালকের সাথে তাদের সাক্ষাত ঘটবে

৪৭. হে বনী ইসরাঈল ! … সবার উপরে তোমাদের শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছিলাম

৪৮. সেই দিনকে ভয় কর যেদিন কেউ কারো কোন কাজে আসবে না

৪৯. যখন আমি ফিরআওনী সম্প্রদায় হতে তোমাদের নিষ্কৃতি দিয়েছিলাম

৫০. যখন তোমাদের জন্য সাগরকে ফাঁক করে দিয়েছিলাম

৫১, আমি মূসাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম চল্লিশ দিনের

৫২. তারপরও আমি তোমাদের ক্ষমা করেছি

৬. আল্লাহ্‌ মশক কিংবা তদপেক্ষা স্ু্র বস্তুর উপামা দিতে সংকোচ বোধ করেন না

সুচিপত্র – তাফসীরে তাবারী বাংলা ৫ম খন্ড

২- সুরা বাকারা

এ সমস্ত আল্লাহ্র আয়াত, আমি তোমার নিকট তা যথাযথভাবে আবৃত্তি

এই রাসূলগণ, আমি তাদের মধ্যে কাউকে কারো উপর শ্ষ্ঠত্ব দিয়েছি —

হে মুমিনগণ। আমি যা তোমাদেরকে দিয়েছি তা হতে তোমরা ব্যয়

দীন সম্পর্কে জোর জবরদস্তি নেই; সত্যপথ ত্রান্ত পথ হতে সুস্পষ্ট হয়ে

যারা বিশ্বাস করে আল্লাহ্‌ তা’আলা তাদের অভিভাবক ……….

তুমি কি এ ব্যক্তিকে দেখনি, যে ইব্রাহীমের সাথে তার প্রতিপালক…

তুমি সেই ব্যক্তিকে কি দেখনি, সে এমন এক ……..

যখন ইবরাহীম বলল, হে আমার প্রতিপালক! কিভাবে

যারা নিজেদের ধন-সম্পদ আল্লাহ্র রাহে ব্যয় করে

যারা আল্লাহ্‌ তা“আানার পথে ধনৈশ্্য ব্যয় করে

যে দানের পর কষ্ট দেয়া হয় তা অপেক্ষা ….

হে মুমিনগণ! দানের কথা প্রচার করে

তোমাদের কেউ কি পসন্দ করে

হে মুমিন! তোমরা যা উপার্জন কর

শয়তান তোমাদেরকে দারিদ্রের ভয় দেখায় …

তিনি যাকে ইচ্ছা হিকমত প্রদান করেন এবং

খা কিছু তোমরা দান কর অথবা যা কিছু .

ভিনিসম্যসহ তোমার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করেছেন

ভোমরা যদি প্রকাশ্যে দান কর তবে তা ভাল আর

তাদের সংপথ গ্রহণের দায় তোমার নয় এবং

এটা প্রাপ্য অভাবপ্রস্ত লোকদের…

যারা নিজেদের ধনসম্পদ রাতদিন

যারা সৃদ এহণ করে তারা সেই ব্যক্তির ন্যায় ..

আল্লাহপাক সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন

যারা ঈমান আনয়ন করে এবং

হে মু’মিনগণ। তোমরা আল্লাহকে তয়.কর

যদি তোমরা না ছাড় তবে জেনে রোখ যে,

যদি ঘাতক অভাব হয় তবে …

তোমরা সেই দিনকে ভয় কর যে দিন

হে যু’মিন। তোমরা যখন একে অন্যের ..

যদি তোমরা সফরে থাক এবং

আসমান এবং যমীনে যা কিছু আছে সবই আল্লাহুরই

রাসূল, তার প্রতি তার প্রতিপালকের পক্ষ হতে

আল্লাহ্‌ কারোও উপর এমন কোন কষ্টদায়ক ..

৩. সুরা আলে-ইমরান

আনিফ-লাম-মীম, আল্লাহ্‌ ব্যতীত

আল্লাহ্‌ নিশ্চয়ই আসমান ও যমীনে…

ভিনিই মাতৃগর্ভে যেভাবে ইচ্ছা তোমাদের

তিনিই তোমার প্রতি এ কিতাব নাধিল

হে আমাদের পালনকর্তা তুমি যখন আমাদের ..

হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি মানব জাতিকে

যারা কৃফরী করে আল্লাহ্‌র নিকট তাদের

তাদের অভ্যাস ফিরআউনী সম্প্রদায় ও তাদের

যারা কুফরী করে তাদেরকে বল

দু’টি দলের পরস্পর সম্মুখীন হওয়ার মধ্যে

নারী, সন্তান, রাশিকৃত স্বর্ণ, রৌপ্য আর ..

বল, আমি কি তোমাদের এসব বস্তু হতে …

যারা বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা

তারা ধৈর্যশীল, সত্যবাদী

আল্লাহ্‌ সাক্ষ্য দেন যে, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই

ইসলাম আল্লাহর নিকট একমাত্র জীবন ব্যবস্থা ..

যদি তারা আপনার সাথে বিতর্ক লিপ্ত হয় ..

যারা আল্লাহ্‌র নিদর্শনসমূহকে প্রত্যাখ্যান করে

এসব লোক, এদের কার্যাবলী ইহকাল ও পরকালে

তুমি কি তাদেরকে দেখনি

তা একারণে যে, তারা বলে থাকে ………

কিছু সেদিন যাতে কোন সন্দেহ নেই .

হে র্াসূল। আপনি বধুন

আপনি রাতকে দিনে রূপান্তরিত করেন

মুমিনগণ যেন মুমিনগণ ব্যতীত

বল, তোমাদের অস্তরে যা আছে .

যেদিন প্রত্যেকে সে যে ভাল কাজ করেছে

হে রাসূল! আপনি বলুন ..

হে নবী। আপনি বলুন

নিশ্চয় আল্লাহ্‌ তা’আলা আদমকে

ভারা একে অপররের বংশধর নু

স্বরণ কর, যখন ইমরানের স্ত্রী বলেছিলেন

এরপর যখন সে তাকে প্রসব করলো .

তারপর তার প্রতিপালক তাঁকে ..

(সেখানেই যাকারিয়া তার প্রতিপালকের

যখন যাকারিয়া কক্ষে সালাতে

সে বলল, হে আমার প্রতিপালক! ্্ন

সে বলল, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে একটি

বরণ কর, যখন ফেরেশতাগণ

হে মারইয়াম। তোমার প্রতিপালকের অনুগত হও

এটা অদৃশ্য বিষয়ের সংবাদ যা…

স্বরণ কর, যখন ফেরেশতাগণ বলল

মে দোলনায় থাকা অবস্থায় রর

সে বলল, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে কোন…

তিনি তাকে শিক্ষা দিবেন কিতাব

তাকে বনী ইসরাঈলের জন্য রাসূল করবেন,

আমি এসেছি আমার সম্মুখে ভাওরাতের

আল্লাহ্‌ আমার প্রতিপালক এবং ….. রঃ

যখন ঈসা তাদের অবিশ্বাস উপলক্কি করলো

হে আমাদের প্রতিপালক আপনি যা অবতীর্ন করেছেন, তাতে আমলা ঈমান

এনেছি

এবং তারা চক্রান্ত করছিলো, আল্লাহও কৌশল করে ছিলেন আল্লাহ্‌

(কৌশলীদের শে

সৃচীপত্র – তাফসীরে তাবারী বাংলা pdf ৬ষ্ঠ খন্ড

২. সূরা আলেইমরান

  • ন্বরণ কর, যখন বললেন, “হে ঈসা আমি তোমার জীবনকাল পূর্ণ করছি
  • এবং আমার নিকট তোমাকে তুলে নিচ্ছি এবং যারা কুফরী করেছে তাদের
  • মধ্য হতে তোমাকে মুক্ত করছি……….
  • যারা কুফুরী করেছে আমি তাদেরকে ইহকাল ও পরকালে কঠোর শাস্তি
  • প্রদান করব এবং তাদের কোন সাহায্যকারী নেই। …….
  • আর যারা ঈমান এনেছে এবং নেক আমল করেছে তিনি তাদের প্রতিফল
  • পুরোপুরিভাবে প্রদান করবেন। আল্লাহ তা’আলা জালিমদেরকে পসন্দ করেন
  • না। ………
  • যা আমি তোমার নিকট বর্ণনা করছি, তা নিদর্শন ও বিজ্ঞানময় উপদেশ। ..
  • আল্লাহ্র নিকট ঈসার দৃষ্টান্ত আদমের দুটান্ত সদৃশ। তাকে মৃত্তিকা হতে সৃষ্ট
  • করেছেন; তারপর তাকে বললেন, “হও”, ফলে সে হয়ে গেল। ………
  • এত সত্য আপনার প্রতিপালকের নিকট হতে, সুতরাৎ আপনি
  • সংশয়বাদীদের অন্তর্ভুক্ত হবেন না। ………
  • তোমার নিকট জ্ঞান আসার পর যে কেউ এ বিষয়ে তোমার সাথে তর্ক
  • করে তাকে বল, এস আমরা আহবান করি আমাদের পুত্রগণকে এবং
  • .. তোমাদের পুত্রগণকে, আমাদের নারীগণকে ও তোমাদের নারীগণকে,
  • আমাদের নিজদেরকে এবং তোমাদের নিজদেরকে …
  • দশ এটি সত্য বৃত্ত আল্লহ ব্যভীত অনয ইলাহ নেই নিয় আল্লাহ্‌
  • পরম প্রতাপশালী, প্রজ্ঞাময়।
  • যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে নিশ্চয় আল্লাহ্‌ ফাসাদ্‌কারীদের সহন্ধে
  • সম্যক অবহিত। ……….
  • তুমি বল, হে আহলে কিতাবিগণ! এসো সে কথায়, যা আমাদের ও
  • তোমাদের মধ্যে একই; যেন আমরা আল্লাহ্‌ ব্যতীত কারো ইবাদত করি
  • না, কোন কিছুকেই তাঁর শরীক না করি ………
  • হে কিতাবিগণ! ইবরাহীম সম্পর্কে কেন তোমরা তর্ক কর; অথচ তাওরাত
  • ও ইনজীল তো তার পরেই অবতীর্ণ হয়েছিল? তোমরা কি বুঝ না?
  • দেখ, যে বিষয়ে তোমাদের সামান্য জ্ঞান আছে, তোমরা তো সে বিষয়ে
  • তর্ক করেছ, তবে যে বিষয়ে তোমাদের কোন জ্ঞান নেই সে বিষয়ে কেন
  • তর্ক করছ? ……….
  • ইবরাহীম ইয়াহুদীও ছিল না বৃষ্টানও ছিল নাঃ সে ছিল একনিষ্ঠ মুসলিম
  • এবং সে মুশরিকদের অন্তত ছিল না। ………
  • যারা ইবরাহীমের অনুসরণ করেছিল তারা এবং এই নী ও যারা ঈমান
  • এনেছে মানুষের মধ্যে তারাই ইবরাহীমের ঘণিষ্ঠতম ..
  • কিতাবীদের একদল তোমাদেরকে বিপদগামী করতে চেয়েছিল; অথচ তারা
  • তাদের নিজেদেরকেই বিপথগামী করে কিন্তু তারা উপলব্ধি করে না। …..
  • হে কিতাবিগণ! তোমরা কেন আল্লাহ্র আয়াতকে অস্বীকার কর, অথচ
  • তোমরাই সাক্ষ্যবহন কর। ………
  • হে কিতাবিগণ! তোমরা কেন সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত কর এবং সত্য
  • গোপন কর, যখন তোমার জান:
  • আহলে কিতাবের একদল বলল, যারা ঈমান এনেছে তাদের প্রতি যা
  • অবতীর্ণ হয়েছে দিনের প্রারগে তা বিশ্বাস কর এবং দিনের শেষে তা
  • অবিশ্বাস কর, হয়ত তারা ফিরতে পারো ……..
  • আর যারা তোমাদের দীনের অনুসরণ করে, তাদেরকে ব্যতীত আর কাউকে
  • বিশ্বাস করনা। বল, আল্লাহ্‌র নির্দেশিত পথই পথ। …
  • রা পে আম
  • কিতাবীদের মধ্যে এমন লোকও রয়েছে, যে বিপুল সম্পদ আমানত
  • রাখলেও ফেরত দিবে ………
  • “হ্যা কেউ তীর অঙ্গীকার পূর্ণ করলে এবং তাকওয়া
  • আল্লাহ্‌ মুস্তাকিগণকে ভালবাসেন।” ………
  • যারা আল্লাহ্র সাথে কৃত প্রতি এবং নিজেদের শপথকে তুচ্ছ মূল্য
  • বিক্রি করে, পরকালে তাদের কোন অংশ নেই। কিয়ামতের দিন আল্লাহ্‌
  • তাদের সাথে কথা বলবেন না এবং তাদের দিকে দৃষ্টিপাত করবেন না…
  • তাদের মধ্যে একদল লোক আছেই যারা কিতাবকে জিহবা দ্বারা বিকৃত
  • করে যাতে তোমরা তাকে আল্লাহ্‌র কিতাবের অংশ মনে কর; কিন্তু তা
  • কিতাবের অংশ নয় বরং তারা বলে তা আল্লাহ্‌র পক্ষ হতে ………
  • “কোন ব্যক্তিকে আল্লাহ্‌ কিতাব, হিকমাত ও নবুওয়াত দান করার পর সে
  • মানুষকে বলবে, আল্লাহ্‌র পরিবর্তে তোমরা আমার দাস হয়ে যাও, ভা তার
  • জন্য শোভন নয় ..
  • ফেরেশতাগণকে ও নবীগণকে প্রতিপালকন্ধপে গ্রহণ করতে সে
  • তোমাদেরকে নির্দেশ দিবে না।
  • স্বরণ কর, যখন আল্লাহ্‌ নবীদের অংগীকার নিয়েছিলেন, তোমাদেরকে
  • কিতাব ও হিকমাত যা কিছু দিয়েছি তার শপথ, আর তোমাদের কাছে যা
  • আছে তার সমর্থকরূপে যখন একজন রাসূল আসবে তখন নিশ্চয় তোমরা
  • তীঁকে বিশ্বাস করবে
  • এরপর যারা মুখ ফিরাবে তারাই সত্যপথ ত্যাগী।
  • তারা কি চায় আল্লাহ্র দীনের পরিবর্তে অন্য দীন? যখন আকাশে ও
  • যা কিছু আছে সমন্তই স্বেচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় তাঁর নিকট
  • আত্মসমর্পণ করেছে! আর তার দিকেই তারা প্রত্যাবর্তিত হবে। ….
  • সবল, আমরা আল্লাহৃতে এবং আমাদের প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে এবং
  • ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াক্ব ও তাঁর বংশধরগণের প্রতি যা
  • অবতীর্ণ হয়েছে এবং যা মুসা, ঈসা ও অন্যান্য নবীগণকে তাদের
  • প্রতিপালকের নিকট হতে প্রদান করা হয়েছে
  • *কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন দীন গ্রহণ করতে চাইলে তা
  • কখনও কবুল করা হবে না এবং সে হবে পরকালে ক্ষতিগ্রস্তদের
  • ঈমান আনয়নের পর ও রাসূলকে সত্য বলে সাক্ষ্মদান করার পর এবং
  • তাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শন আসার পর যে সম্প্রদায় সত্য প্রত্যাখ্যান করে,
  • তাকে আল্লাহ্‌ কিরূপে সংপথে পরিচালিত করবেন? …
  • ূ এরাই তারা যাদের কর্মফল এই যে, তাদের উপর আল্লাহ, ফেরেশতাগণ
  • এবং মানুষ সকলেরই -লা’নত। …
  • তারা তাতে সর্বদা অবস্থান করবে, তাদের শাস্তি লঘু করা হবে না এবং
  • তাদেরকে বিরামও দেয়া হবে না ………
  • তবে এরপর যারা তওবা করে ও নিজদেরকে সংশোধন করে তারা ব্যতীত।
  • ঈমান আনার পর যারা সত্য প্রত্যাখ্যান করে এবং যাদের সত্য
  • ্ত্যাখ্যান-প্রবৃততি বৃদ্ধি পেতে থাকে, তাদের তওবা কখনও কবুল হবে না।
  • এরাই পথ …..
  • যারা কুফরী করে এবং কাফিররপে যাদের মৃত্য ঘটে ভাদের কারো নিকট
  • হতে পৃথিবীপূ্ণ স্বর্ণ বিনিময় স্বরূপ প্রদান করলেও তা কখনও কবুল হবে
  • না। এরাই তারা, যাদের জন্য বেদনাদায়ক শাস্তি রয়েছে; ‘ভানের কোন
  • সাহায্যকারী নেই। …
  • তোমরা যা৷ ভালবাস তা হতে ব্যয় না করা পর্যস্ত তোমরা কখনও পুণ্য লাভ
  • করবে না। ……..+.
  • তাওরাত অবতীর্ণ হবার পূর্বে ইসরাঈল ইয়াকুব (আ.) নিজের জন্য যা
  • হারাম করেছিল তা ব্যতীত বনী ইসরাঈলের জন্য যাবতীয় খাদ্যই হানাল
  • ছিল। ………
  • এরপরও যারা আল্লাহ তা’আলা সম্পর্কে মিথ্যা সৃষ্টি করে তারাই জালিম।
  • বল, আল্লাহ্‌ তা’আলা সত্য বলেছেন। সুতরাং তোমরা একনিষ্ঠ ইবরাহীমের
  • ধর্মাদর্শ অনুসরণ কর, তিনি মুশরিকদের অন্ততৃক্ত নন।
  • মানব জাতির জন্য সর্বপ্রথম যে গৃহ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তা তো বাকায়, তা
  • বরকতময় বিশ্বজগতের দিশারী। ………
  • তাতে বহু সুস্পষ্ট নিদর্শন রয়েছে যেমন মাকামে ইবরাহীম এবং যে কেউ
  • (সেখানে প্রবেশ করে সে থাকবে নিরাপদ। মানুষের মধ্যে যার সেখানে
  • যাবার সামধ্য আছে, আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে গৃহের হজ্জ করা তার অবশ্য
  • বল, হে কিতাবিগণ! তোমরা আল্লাহ্‌ তা’আলার নিদর্শনকে কেন প্রত্যাখ্যান
  • কর? তোমরা যা কর আল্লাহ্‌ তা’আলা তার সাক্ষী। ………
  • বল, হে কিতাবিগণ! যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে কেন আল্লাহ্‌র পথে
  • বাধা দিচ্ছ, তা বক্রতা অৰেষণ করে? অথচ তোমরা সাক্ষী। তোমরা যা কর
  • আল্লাহ্‌ তা’আলা সে সন্ধে অনবহিত নন। ………
  • হে মুমিনগণ! যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে, তোমরা যদি তাদের দল
  • (বিশেষের আনুগত্য কর, তবে তারা তোমাদেরকে ঈমান আনার পর আবার
  • কাফিররূপে পরিণত করবে। ………
  • আল্লাহ্‌ তা’আলার আয়াত তোমাদের নিকট পঠিত হয় এবং তোমাদের
  • মধ্যেই তাঁর রাসূল রয়েছেন; তা সত্তেও কিরূপে তোমরা সত্য প্রত্যাখ্যান
  • করবে?
  • হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ্‌ তা’আলাকে যথার্থভাবে ভয় কর এবং
  • তোমরা আত্মনমর্পণকারী না হয়ে কোন অবস্থায় মরো না। ……
  • আর তোমরা সকলে আল্লাহ্র রঙ্ছু দৃঢ়ভাবে ধর এবং পরস্পর বিচ্ছিন হয়ো
  • না। তোম, “ল প্রতি আল্লাহ্‌র অনুগ্রহকে ম্বরণ করোঃ তোমরা ছিপে
  • পরস্পর শক্র এবং তিনি তোমদের হৃদয়ে শ্রীতির সঞ্চার করেন। …….
  • জন্য শোভন *
  • কদ্যাণের পথে আহবানকারী একদল থাকা চাই
  • তোমাদের মধ্যে এমন একদল হোক যারা মানুষকে কল্যাণের দিকে
  • আহবান করবে এবং সৎ কাজের নির্দেশ দেবে ও অসৎ কাজ থেকে বিরত
  • রাখবে; তারাই সফলকাম। ……….
  • ইয়াহুদ নাসারার মতো হলে ধ্বংস অনিবার্ধ
  • তোমরা তাদের মত হয়ো না, যারা তাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শনসমূহ আসার
  • পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মধ্যে মতান্তর সৃষ্টি করেছে
  • শেষ বিচারের দিন ঈমান ও কুফরী অনুপাতে চেহারা উজ্জ্বল ও মলীন হবে
  • (সেদিন কতেক মুখ উদ্ভ্বল হবে এবং কতেক যুখ কাল হবে; যাদের মুখ
  • কাল হবে তাদেরকে বলা হবে, ঈমান আনয়নের পর কি তোমরা কুফরী
  • করেছিলে? সৃতরাং তোমরা শাস্তি ভোগ কর ……….
  • যাদের মুখ উদ হবে, তারা আল্লাহর অনুগ্রহে শান্তিতে থাকবে, সেখানে
  • তারা স্থায়ী হবে। ……..
  • এগুলো, আল্লাহ্র আয়াত, আপনার নিকট যথাযথভাবে আবৃত্তি করছি।
  • আল্লাহ্‌ বিশ্বলগতের প্রতি জুলুম করতে চান না। ………
  • আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে, সব আল্লাহ তা’আলারই, আল্লাহ্‌
  • তা”আলার নিকটই সব কিছু ফিরে যাবে। ………
  • োমরাই শেঠ উত্ত, মানব জাতির কল্যাণের জন্যে তোমাদের আবির্ভাব
  • হয়েছে তোমরা সংকাজের আদেশ করবে, অসৎ কাজে নিষেধ করবে
  • এবং আল্লাহ্‌ তা’আালাকে বিশ্বাস করবে। ……….
  • সামান্য কষ্ট দেয়া ব্যতীত তারা তোমাদের কোন ক্ষতি সাধন করতে পারবে
  • না, যদি তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে, তবে তারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন (পলায়ন)
  • ক্রবে। …….
  • আল্লাহ্‌র আশ্রয় ও মানুষের আশ্রয়ের বাইরে যেখানেই থাকুক সেখানেই
  • তারা লাঞ্ছিত হয়েছে। তারা আল্লাহ্‌র গযবে পতিত হয়েছে এবং
  • পরমুখাপেক্ষিতা তাদের প্রতি নির্ধারিত রয়েছে। এটা এহেতু যে, তারা
  • মহান আল্লাহ্র আয়াতসমূহ প্রত্যাখ্যান করত এবং অন্যায়ভাবে নবীগণকে
  • হত্যা করত। তি
  • তারা সকলে এক প্রকার নয়। আহলে কিতাবগণের একদল দীনের উপর
  • কায়েম রয়েছে, তারা রাত্রিকালে আল্লাহ্‌ তা’আলার আয়াতসমূহ পাঠ করে
  • এবং সিজদায় রত থাকে। ………
  • তারা আল্লাহ্‌ এবং শেষ দিনে বিশ্বাস করে, সবকার্ের নির্দেশ দেয়,
  • অসংকার্য নিষেধ করে এবং তারা সংকার্ষে প্রতিযোগিতা করে। .
  • উত্তম কাজের যা কিছু তারা করে, তার প্রতিদান থেকে তাদেরকে কখনও
  • বঞ্চিত করা হবে না .
  • যারা কুফরী করে তাদের ধনৈশবর্য ও সন্তান-সন্ততি আল্লাহ্র নিকট কখনও
  • কোন কাজে লাগবে না।
  • এ পার্থিব জীবনে যা তারা ব্যয় করে তার দৃষ্টান্ত হিমশীতল বায়ু, যা, যে
  • জাতি নিজেদের প্রতি জুলুম করেছে তাদের শস্যক্ষেত্রকে আঘাত করে ও
  • বিনষ্ট করে। আল্লাহ্‌ তাদের প্রতি কোন জুলুম করেন নি ..
  • “হে মুমিনগণ! তোমাদের আপনজন ব্যতীত অপর কাউকেও অন্তরংগ
  • বন্ধুরূপে গ্রহণ করনা; তারা তোমাদের অনিষ্ট করতে ক্রুটি করবে না; যা
  • তোমাদের বিপন্ন করে তা-ই তারা কামনা করে। …….
  • তোমরাই তাদেরকে ভালোবস অথচ
  • তারা তোমাদের ভালোবাসে না
  • “হুশিয়ার! তোমরাই কেবল তাদেরকে ভালবাস, কিন্তু তারা তোমাদেরকে
  • তালবাসে না এবং তোমরা সমস্ত আসমানী কিতাবে বিশ্বাস কর।
  • শ্যদি তোমাদের মঙ্গল হয়, তারা দুঃখিত হয়, আর যদি তোমাদের অমঙ্গল
  • হয়, তারা আনন্দিত হয়। তোমরা যদি ধৈর্যশীল হও এবং মুত্তাকী হও,
  • বদর যুদ্ধের প্রস্তুতি পর্বের বর্ণনা
  • শ্যরণ কর, যখন তুমি তোমার পরিজনবর্গের নিকট হতে প্রত্যুষে বের
  • হয়ে যুদ্ধের জন্যে মু*মিনগণকে ঘাঁটিতে স্থাপন করছিলেন
  • “্যখন তোমাদের মধ্যে দুই দলের সাহস হারাবার উপক্রম হয়েছিল এবং
  • আল্লাহ্‌ পাক উভয়ের সহায়ক ছিলেন,
  • বদরের যুদ্ধে মহান আল্লাহর সাহায্য
  • আর আল্লাহ্‌ তা’আলা .তোমাদেরকে সাহায্য করেছিলেন বদরের যুদ্ধে,
  • এমতাবস্থায় যে, তোমরা দুর্বল ছিলে …
  • বদর যুদ্ধে ফেরেশতা দ্বারা সাহায্য করা হয়েছে
  • (হে রাসূল! আপনি) স্বরণ করুন যখন আপনি মুমিনগণকে বলছিলেন এটা
  • কি তোমাদের জন্যে যথেষ্ট নয় যে, তোমাদের প্রতিপালক প্রেরিত তিন
  • সহম্্ ফেরেশতা ছার! তোমাদের সহায়ত৷ করবেনঃ
  • . হ্যা নিশ্চয়, যদি তোমরা ধৈর্য ধারণ কর ও সাবধান হয়ে চল, আর তারা
  • দ্রুতগতিতে তোমাদের উপর আক্রমণ করে তোমাদের প্রতিপালক পাচ
  • “আর এ তো আল্লাহ্‌ তোমাদের জন্য সুসংবাদ করেছেন এবং যাতে
  • তোমাদের মন শান্ত তাকে এবং সাহায্য শুধু প্রবল প্রাক্রনত প্রজ্ঞাময়
  • আল্লাহ্র নিকট থেকেই হয়।” …….
  • শ্যারা কাফির এক অংশকে নিশ্চিহু করার অথবা লাঞ্চিত করার জন্যঃ
  • ফলে তারা নিরাশ হয়ে ফিরে যায়!
  • .. শ্ভিনি তাদের প্রতি ক্ষমাশীল হবেন অথবা তাদেরকে শাস্তি দেবেন, এ
  • বিষয়ে আপনার করণীয় কিছুই নেই, কারণ, তারা সীমা লংঘনকারী।” ….
  • আসমানে ও যমীনে যা কিছু আছে সমস্তই আল্লাহ্র। তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা
  • করেন এবং যাকে ইচ্ছা শাস্তি দেন …
  • .. “হে বিশ্বাসিগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না এবং আল্লাহকে ভয়
  • কর যাতে তোমরা সফলতা লাভ করতে পার।” ……..
  • তোমরা সে অগ্নিকে তয় কর যা কাফিরদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। ….
  • . তোমরা আল্লাহ্‌ ও রাসূলের আনুগত্য কর যাতে তোমরা কৃপা লাত করতেপার
  • . তোমরা ধাবমান হও আপন প্রতিপালকের নিকট হতে ক্ষমা এবং সে
  • জান্নাতের দিকে যার বিস্তৃতি আসমান ও যমীনের ন্যায় যা প্রস্ুত করা
  • হয়েছে মুত্তাকীদের জন্য। ………
  • . যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল অবস্থায় ব্যয় করে এবং যারা ক্রোধ সংবরণকারী
  • এবং মানুষের প্রতি ক্ষমাশীল ………
  • আর যারা (অনিচ্ছাকৃতভাবে) কোন অগ্রীল কাজ করে ফেলে অথবা
  • নিজেদের প্রতি জুলুম করে আল্লাহ্‌কে স্বরণ করে এবং নিজেদের পাপের
  • জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং আল্লাহ্‌ ব্যতীত কে পাপ ক্ষমা করবে? আর
  • তারা যা করে তা জেনে-শুনে তারই পুনরাবৃত্তি করে না .
  • , তারাই তারা, যাদের পুরম্কার তাদের প্রতিপালকের ক্ষমা এবং
  • জান্নাত, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত; সেখানে তারা স্থায়ী হবে
  • তোমাদের পূর্বে বহু বিধান গত হয়েছে, কাজেই তোমরা পৃথিবী ভ্রমণ কর
  • এবং দেখ মিথ্যশ্রয়ীদের কি পরিণাম। ………
  • তা মানবজাতির জন্য সুস্পষ্ট বর্ণনা এ.
  • উপদেশ। ………
  • তোমরা হীনবল হয়ো না এবং দুঃখিত হয়ো না, বস্তুত তোমরাই বিজয়ী,
  • যদি তোমরা মু’মিন হও। …….
  • যদি তোমাদের আঘাত লেগে থাকে, তবে অনুরূপ আঘাত তাদেরও
  • তো লেগেছে। মানুষের মধ্যে এই দিনগুলোর পর্যায়ক্রমে আমি আবর্তন
  • ঘটাই। …….
  • যাতে আল্লাহ্‌ মুমিনগণকে পরিশোধন করতে পারেন এবং সত্য
  • তোমরা কি মনে কর যে, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে, যখন আল্লাহ্‌
  • তোমাদের মধ্যে কে জিহাদ করেছে এবং ধৈর্যশীল তা এখনও জানেন না ..
  • মৃত্র সম্থুখীন হওয়ার পূর্বে তোমরা তা কামনা করতে, এখন তো
  • “মুহাম্মদ রাসূল ব্যতীত কিছু নয়, তাঁর পূর্বে বহু রাসূল গত হয়েছে।
  • কাজেই যদি সে মারা যায় অথবা নিহত হয়, তবে তোমরা কি পৃষ্ঠ প্রদর্শন
  • আল্লাহ্র অনুমতি ব্যতীত কারো মৃত্যু হতে পারে না, যেহেতু এর মিয়াদ
  • অবধারিত।
  • আর কত নবী যুদ্ধ করেছে তাদের সাথে বহু আল্লাহওয়ালা ছিল। আল্লাহ্র
  • পথে তাদের যে বিপর্যয় ঘটেছিল তাতে তারা হীনবল হয়নি, দুর্বপ হয়নি
  • এবং নত হয়নি ………
  • এ কথা ব্যতীত তাদের আর কোন কথা ছিল না, হে আমাদের প্রতিপালক!
  • আমাদের পাপসমূহ এবং আমাদের কাজে সীমালত্ঘন আপনি ক্ষমা করুন .
  • তারপর আল্লাহ্‌ পাক তাদেরকে পার্থিব পুরস্কার এবং উত্তম পারলৌকিক
  • পুরস্কার দান করবেন ……..
  • “হে মুমিনগণ! তোমরা যদি কাফিরদের আনুগত্য কর তবে তারা
  • তোমাদেরকে বিপরীত দিকে ফিরিয়ে দেবে এতে তোমরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে
  • আল্লাহই তো তোমাদের অভিভাবক এবং তিনিই শ্রেষ্ঠ সাহায্যকারী
  • কাফিরদের অন্তরে ভীতির সঞ্চার করে দিব, যেহেতু তারা আল্লাহ্‌র শরীক
  • করেছে, যার সপক্ষে আল্লাহ্‌ কোন সনদ পাঠাননি। আর জাহান্নাম তাদের
  • আবাস; কত নিকৃষ্ট বাসস্থান জালিমদের। …….
  • আল্লাহ্‌ তোমাদের সাথে তাঁর প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছিলেন যখন তোমরা
  • : আল্লাহ অনুমতিক্রমে তাদেরকে বিনাশ করছিলে, যে পর্যন্ত না তোমরা
  • সাহস হারালে এবং নির্দেশ সন্ধে মতভেদ সৃষ্টি করলে …
  • . শ্যরণ কর সেই সময়কে, যখন তোমরা উর্ধ্বমুখে ছুটছিলে এবং পেছনের
  • দিকে কারো প্রতি লক্ষ্য করছিলে না, আর রাসূলুল্লাহ্‌ (সা.) তোমাদেরকে
  • . তারপর দুঃখের পর তিনি তোমাদেরকে প্রদান করলেন প্রশান্তি তন্ত্রারূপে,
  • যা তোমাদের এক দলকে আচ্ছন্ন করেছিল। আর এক দল জাহিলী যুগের
  • অভ্র ন্যায় আল্লাহ্‌ স্বন্ধে অবাস্তব ধারণা করে নিজেরাই নিজেদেরকে
  • উদ্ধি্র করেছিল …….
  • সেদিন দু’দল পরস্পরের সম্থুবীন হয়েছিল, সে দিন তোমাদের মধ্য হতে
  • র যারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করেছিল, তাদের কোন কৃতকর্মের জন্য শয়তানই তাদের
  • পদস্থলন ঘটিয়েছিল। অবশ্য আল্লাহ্‌ তাদেরকে ক্ষমা করেছেন
  • হে মুমিনগণ! তোমরা তাদের মত হয়ে! না যারা কুফরী করে
  • তোমরা আল্লাহ্‌র পথে নিহত হলে অথবা মৃত্যুবরণ করলে, যা তারা জমা
  • করে, আল্লাহর ক্ষমা এবং দয়া অবশ্যই তা অপেক্ষা শ্রেয়।
  • “ আর তোমাদের মৃত্যু হলে অথবা তোমরা নিহত হলে, আল্লাহ্রই নিকট
  • তোমাদেরকে একত্র করা হবে ……..
  • (হে রাসূল!) আপনি তাদের প্রতি কোমল-হবদয় হয়েছিলেন; যদি আপনি
  • কর্কশভাসী ও কঠিনচিত্ত হতেন, তবে তারা আপনার আশপাশ থেকে দূরে
  • সরে পড়ত। …….
  • আল্লাহ্‌ তোমাদেরকে সাহায্য করলে তোমাদের উপর জয়ী হওয়ার আর
  • (কেউই থাকবে না। আর তিনি তোমাদেরকে সাহায্য না করলে, তিনি ছাড়া
  • কে এমন আছে, যে তোমাদেরকে সাহায্য করবে? ……..
  • অন্যায়ভাবে কোন বন্তু গোপন করা, তা নবীর পক্ষে অসম্ভব এবং কেউ
  • অন্যায়ভাবে কিছু গোপন করলে, যা সে অন্যায়ভাবে গোপন করবে
  • কিয়ামতের দিন সে তা নিয়ে আসবে। তারপর প্রত্যেককে, যা সে অর্জন
  • করেছে তা পূর্ণ মাত্রায় দেয়া হবে
  • আল্লাহ্‌ যাতে রাষী, এর যে তারই অনুসরণ করে, সে কি এ ব্যক্তির মত
  • যে আল্লাহ্র ক্রোধের পাত্র হয়েছে এবং জাহান্নামই যার আবাস? এবং তা
  • নিশ্চয় আল্লাহ্‌ পাক মুমিনগণের প্রতি বিশেষ ইহসান করেছেন যে, তাদের
  • মধ্যে থেকেই তাদের নিকট রাসূল প্রেরণ করেছেন। ..
  • কি ব্যাপার! যখন তোমাদের উপর মুসীবত এল তখন তোমরা বললে, এ
  • কোথেকে আসল? অথচ তোমরা তো দ্বিগুণ বিপদ ঘটিয়েছিলে ……
  • যে দিন দু’দল পরস্পরের, সম্ুখীন হয়েছিল সেদিন তোমাদের উপর যে
  • বিপর্যয় ঘটেছিল তা আল্লাহরই নির্দেশক্রমে হয়েছিল; এ ছিল মু’মিনদেরকে
  • পরীক্ষা করার জন্য! ………
  • মুনাফিকদেরকে জানাবার জন্য এবং তাদেরকে বলা হয়েছিল, এস,
  • আল্লাহ্‌র রাহে জিহাদ করো, অথবা শক্রদেরকে রুখে দাঁড়াও। তখন
  • মুনাফিকরা বলল, যদি আমরা কোন নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় যুদ্ধ দেখতাম,
  • তবে অবশ্যই তোমাদের সাথে আমরা অংশগ্রহণ করতাম ………
  • যারা ঘরে বসে রইল এবং তাদের ভাইদের সম্বন্ধে বলল, যে, তারা তাদের
  • কথা মত চললে নিহত হতো না, তাদেরকে বল, যদি তোমরা সত্যবাদী
  • হও তবে নিজেদেরকে মৃত্যু হতে রক্ষা কর
  • যারা আল্লাহ্‌র পথে নিহত হয়েছে তাদেরকে কখনো মৃত মনে করোনা;
  • বরং তারা জীবিত এবং তাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তারা জীবিকা
  • রাত
  • আল্লাহ্‌ নিজ অনুথহে তাদেরকে যা দিয়েছেন তাতে তারা আনন্দিত এবং
  • তাদের পিছনে যারা এখনও তাদের সাথে মিলিত হয়নি তাদের জন্য আনন্দ
  • প্রকাশ করে, এ জন্য যে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে
  • না.
  • আল্লাহ্‌র অবদান ও অনুগ্রহের জন্য তারা আনন্দ প্রকাশ করে এবং তা এ
  • কারণে যে, আল্লাহ্‌ মু’মিনদের প্রতিদান বিনষ্ট করেন না
  • যখম হওয়ার পর যারা আল্লাহ্‌ ও রাসূলের ভাকে সাড়া দিয়েছে, তাদের
  • মধ্যে যারা সৎকার্য করে এবং তাকওয়া অবলবন করে চলে তাদের জন্য
  • রয়েছে মহাপুরস্কার ………
  • তাদেরকে লোকে বলেছে, তোমাদের বিরুদ্ধে লোক জমায়েত হয়েছে
  • সুতরাং তোমরা তাদেরকে ভয় কর; কিন্তু এ কথা তাদের বিশ্বাস দৃঢ়তর
  • করেছে; এবং তারা বলেছিল, আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট
  • ১৭৪. তারপর তারা আল্লাহ্‌র অবদান ও অনুগ্রহসহ ফিরে এসেছিল, কোন অনিষ্ট
  • তাদেরকে স্পর্শ করেনি এবং আল্লাহ্‌ যাতে রাহী তারা তারই অনুসরণ
  • করেছিল এবং আল্লাহ্‌ মহা অনুগ্বশীল ..
  • ১৭৫. শয়তানই তোমাদেরকে তার বন্ধুদের ভয় দেখায়; সুতরাং যদি তোমরা
  • মু’মিন হও তবে তোমরা তাদেরকে ভয় করো না, আমাকেই তয় কর। …
  • ১৭৬. যারা দ্রতবেগে নাফরমানীর দিকে ধাবিত হয় তাদের আচরণ যেন
  • তোমাকে দুঃখ না দেয়। তারা কখনো আল্লাহ্‌র কোন ক্ষতি করতে পারবে
  • ১৭৭. যারা ঈমানের বিনিময়ে কুফরী ক্রয় করেছে তারা কখনো আল্লাহ্‌র কোন
  • ক্ষতি করতে পারবে না .
  • ১৭৮০ কাফিররা যেন কিছুতেই নে না করে যে, আমি অবকাশ দেই তাদের
  • মঙ্গলের জন্য; আমি অবকাশ দিয়ে থাকি যাতে তাদের পাপ বৃদ্ধি পায় এবং
  • তাদের জন্য লাঞ্নাদায়ক শাস্তি রয়েছে। …
  • ১৭৯… অসৎকে সৎ হতে পৃথক না করা পর্যন্ত তোমরা যে অবস্থায় রয়েছে আল্লাহ্
  • মুমিনদেরকে সে অবস্থায় ছেড়ে দিতে পারেন না। অদৃশ্য সম্পর্কে আল্লাহ্‌
  • তোমাদেরকে অবহিত করবার নন; তবে আল্লাহ্‌ তার রাসূলগণের মধ্যে
  • যাকে ইচ্ছা মনোনীত করেন
  • ১৮০, আল্লাহ্‌ নিজ অনুষহে যা তোমাদেরকে দিয়েছেন ভাতে যারা কৃপণতা করে
  • তাদের জন্য তা মঙ্গল, এ যেন তারা কিছুতেই মনে না করে। ……..
  • ১৮১, য়ারা বলে, আল্লাহ্‌ অভাবশ্স্ত ও আমরা অভাবমুক্ত তাদের কথা আল্লাহ্
  • শুনেছেন; তারা যা বলেছে তা ও নবীগণকে অন্যায়ভাবে হত্যা করার বিষয়
  • আমি লিখে রাখব
  • ৮২-_ এ তোমাদের কৃতকর্মেরই ফল এবং তা একারণে যে, আল্লাহ্‌ বান্দাদের
  • প্রতি জালিম নন।
  • ১৮৩, যারা বলে, আল্লাহ্‌ আমাদেরকে আদেশ দিয়েছেন যে, আমরা যেন কোন
  • রাসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন না করি যতক্ষণ পর্যন্ত সে আমাদের নিকট
  • এমন কুরবানী উপস্থিত না করবে যা অগ্নিগ্রাস করবে ……..
  • ১৮৪. তারা যদি তোমাকে অস্বীকার করে, তোমার পূর্বে যে সব রাসূল স্পষ্ট
  • নিদর্শন, অবতীর্ণ গ্রন্থসমূহ এবং দীত্তিমান কিতাবসহ এসেছিল ..
  • ১৮৫. জীবমাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে
  • তোমাদের কর্মফল পূর্ণ মাত্রায় দেয়া হবে ……..
  • ১৮৬. তোমাদেরকে নিশ্চয়ই তোমাদের ধনৈশবর্য ও জীবন সমন্ধে পরীক্ষা করা
  • হবে। তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছিল তাদের এবং
  • মুশরিকদের নিকট হতে তোমরা অনেক কষ্টদায়ক কথা শুনবে
  • স্মরণ কর যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছিল আল্লাহ্‌ তাদের থেকে প্রতিশ্রুতি
  • নিয়েছিলেন, তোমরা তা মানুষের নিকট স্পষ্টভাবে প্রকাশ করবে
  • যারা নিজেরা যা করেছে তাতে আনন্দ প্রকাশ করে এবং যা নিজেরা করেনি
  • এমন কার্যের জন্য প্রশংসিত হতে ভালবাসে, তারা শাস্তি হতে মুক্তি পাবে
  • আসমান ও যমীনের সার্বভৌম ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ্রই ..
  • আকাশমন্ডল ও পৃথিবীর সৃষ্টিতে, দিবস ও রা্রির পরিবর্তনে নিদর্শনাবলী
  • রয়েছে বোধশক্তি সম্পন্ন লোকের জন্য। …….
  • যারা দাঁড়িয়ে বসে এবং শুয়ে আল্লাহকে স্বরণ করে এবং আকাশমন্ডল ও
  • পৃথিবীর সৃষ্টি সন্ধে চিন্তা করে এবং বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি
  • এ সব নিরর্ক সৃষ্টি করনি …….
  • হে আমাদের প্রতিপালক! কাউকে তুমি অগনিতে নিক্ষেপ করলে তাকে তো
  • তুমি নিশ্য়ই হেয় করলে এবং জালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই।
  • হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা এক আহ্বায়ককে ঈমানের দিকে আহবান
  • করতে শুনেছি, তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের প্রতি ঈমান আনয়ন কর।
  • সুতরাৎ আমরা ঈমান আনয়ন করেছি। …….
  • হে আমাদের প্রতিপালক। তোমার রাসূলগণের মাধ্যমে আমাদেরকে যা
  • দিতে প্রতিস্রুতি দিয়েছ তা আমাদেরকে দাও এবং কিয়ামতের দিন
  • আমাদের কে হেয় করো না
  • তারপর তাদের প্রতিপালক তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে বলেন, আমি
  • তোমাদের মধ্যে কোন কর্মনিষ্ঠ নর অথবা নারীর কর্ম বিফল করি নাঃ
  • তোমরা একে অপরের অংশ ………
  • যারা কুফরী করেছে দেশে দেশে তাদের অবাধ বিচরণ যেন কিছুতেই
  • তোমাকে বিভ্রান্ত না করে।
  • এ সামান্য ভোগ মাত্র; তারপর জাহান্নাম তাদের আবাস; আর তা কত
  • কিনতু যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত,
  • যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তারা স্থায়ী হবে ……..
  • ‘কিতাবীদের মধ্যে এমন লোক আছে যারা আল্লাহর প্রতি বিনয়াবনত হয়ে
  • তীর প্রতি এবং তিনি যা তোমাদের ও তাদের প্রতি অবতীর্ণ করেছেন
  • তাতে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং আল্লাহ্‌র আয়াত তুচ্ছ মূল্যে বিক্রি করে না
  • হে ঈমানদারগর্ণ তোমরা ধৈর্যধারণ কর, ধৈর্যে প্রতিযোগিতা কর এবং সদা
  • প্রস্তুত থাক; আল্লাহকে ভয় কর যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।

সূচীপত্র – তাফসীরে তাবারী শরীফ ৭ম খন্ড

সূরানিসা

  • ০১. হে মানব! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি
  • হতে সৃষ্টি করেছেন ও যিনি তা হতে তার … দমন টি
  • ০২. ইয়াতীমদেরকে তাদের ধন-সম্পদ সমর্পণ করবে এবং ভালর সাথে মন্দ বদল করবে
  • না। ভোমাদের সম্পদের সাথে তাদের সম্পদ মিশিয়ে থ্াস করো না; এটা মহাপাপ ….. ১৩
  • ০৩. তোমরা যদি আশংকা কর যে, ইয়াতীম মেয়েদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না, তবে
  • বিয়ে করবে নারীদের মধ্যে যাকে তোমাদের ভাল লাগে, দু’ তিন ১
  • স্ত্রীকে মহরানা প্রদানের বিধান-৩১
  • ০৪. এবং তোমরা নারীদেরকে তাদের মহর স্বতধপ্বৃত্ হয়ে প্রদান করবে; স্তুষ্টচিত্তে তারা
  • মহরের কিয়দংশ ছেড়ে দিলে তোমরা তা ব্চ্ন্দে ভোগ কর। …
  • ০৫, তোমাদের সম্পদ যা আল্পাহ্‌ তোমাদের জন্য উপজীবিকা করেছেন, তা নির্বোধদের হাতে
  • অর্পণ করো না; তা হতে ভাদের খাওয়া-পরার ব্যবস্থা করবে এবং তাদের সাথে
  • সদালাপ করবে। …. ৩৫
  • ৩৬. ইয়াতীমদের যাচাই করবে যে পর্যন্ত না তারা বিয়ের যোগ্য হয় এবং তাদের মধ্যে
  • ভাল-মন্দ বিচারের জ্ঞান দেখলে, তাদের সম্পদ তাদেরকে ফিরিয়ে দেবে। ৪
  • _০৭. পুরুষদের জন্য তোরা ছোট হোক বা বড় হোক) একটা অংশ (নির্ধারিত) রয়েছে, যা
  • পিতা-মাতা এবং নিকট আত্মীয়গণ ছেড়ে যায় এবং নারীদের জন্যও (ছোট হোক বা বড়
  • হোক) একটা অংশ রয়েছে, …
  • ০৮ সম্পত্তি বন্টনকালে আত্ীয়, ইয়াতীম এবং অভাবগন্ত লোক উপস্থিত থাকলে তাদেরকে
  • তা থেকে কিছু দেবে এবং তাদের সাথে সদালাপ করবে ।
  • ০৯. আর যারা নিজেদের পশ্চাতে দুর্বল অসমর্থ সন্তান-সন্ততি রেখে যায়, পরে তাদের
  • অবর্তমানে তাদের অবস্থা যেন দেখে, (এমন লোককে তাদের জন্য (পূর্বেই) ভীত এবং
  • সঙ্কুচিত হওয়া উচিত)। কাজেই,
  • ১০. নিশ্চয় যারা ইয়াতীমদের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করে তারা তাদের উদরে অগ্নি ভক্ষণ
  • করে, তারা জুদত্ত আগুনে জ্বলবে ।…… . ৭৬
  • আল্লাহ্‌ তোমাদের সন্তান সম্বন্ধে নির্দেশ দিচ্ছেন £ এক ছেলের অংশ দুই কন্যার অংশের
  • সমান; কিন্তু শুধু কন্যা দুই-এর অধিক থাকলে তাদের জন্য পরিত্যস্ত সম্পত্তির দুই
  • তৃতীয়াংশ: আর মাত্র এক বন্যা থাকলে তার জন্য
  • তোমাদের ীদের পরিতাক সম্পত্তি অর্থংশ তোমাদের জনা, ঘদি তাদের কোন সততা
  • না থাকে এবং তাদের সন্তান থাকলে তোমাদের জন্য তাদের পরিত্যক্ত সম্পত্তির এক
  • চতুর্াংশ; ওসীয়াত পালন ..
  • এসব আল্লাহ্‌র নির্ধারিত সীমা । কেউ আল্লাহ্‌ ও তার রাসূলের আনুগত্য করলে আল্লাহ্‌
  • ভাকে দাখিল করবেন জান্নাতে, যার তলদেশে নদী বাহিত; সেখানে তারা স্থায়ী হবে
  • এবং এ মহাসাফল্য।
  • আর কেউ আল্লাহ্‌ ও তীর রাসূলের অবাধ্য হলে এবং তার নির্ধারিত সীমা লংঘন
  • করলে, তিনি তাকে অগ্রিতে নিক্ষেপ করবেন: সেখানে সে স্থায়ী হবে এবং তার জন্য
  • অপমানকর শাস্তি রয়েছে।
  • তোমাদের নারীদের মধ্যে যারা ব্যভিচার করে, দের বিচে তোমাদের মধ হতে
  • চারজন সাক্ষী তলব করবে; যদি তারা সাক্ষ্য দেয় তবে তাদেরকে গৃহে অবরুদ্ধ
  • করবে, যে পর্যন্ত না তাদের মৃত্যু হয় অথবা আল্লাহ্‌
  • তোমাদের মধ্যে যে, দু’জন এতে লিপ্ত হবে তাদেরকে শাসন করবে; যদি তারা
  • তাওবা করে এবং নিজেদেরকে সংশোধন করে নেয় তবে তাদেরকে রেহাই দেব,
  • আল্লাহ্‌ পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু… নিল ১০৭
  • আল্লাহ্‌ অবশ্যই সে সকল লোকের তাওবা গ্রহণ করেন, যারা ভুলবশত মন্দ কাজ
  • করে এবং অবিলম্থে তাওবা করে । এরাই তারা যাদেরকে আল্লাহ্‌ ক্ষমা করেন, আল্লাহ্‌
  • সর্বজ্ঞ পরজ্ঞময়। .
  • তাওবা তাদের জন্য নয়, যারা আজীবন মন্দ কাজ করে; এবং তাদের কারো মৃত্য
  • উপস্থিত হলে সে বলে, আমি এখন তাওবা করছি এবং তাদের জন্য তাওবা নয়
  • যাদের মৃত্য হয় কাফির অবস্থায় ॥ এরাই তারা যাদের জন্য মর্মনুদ শাস্তির ব্যবস্থা
  • করেছি। .
  • ছে ঈমানদারণ। নারীদেরকে যদি তোমাদের উবার গন্য বরা বৈধ না
  • (তোমরা তাদের যা দিয়েছ, তা হতে কিছু আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে তাদেরকে অবরুদ্ধ
  • করে রেখো না যদি না তারা প্রকাশ্য ব্যভিচার করে, তাদের সাথে সত্ভাবে জীবন
  • তোমরা যদি এক স্ত্রীর স্থলে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করা স্থির কর এবং তাদের একজনকে
  • অগাধ অর্থও দিয়ে থাক, তবুও তা হতে কিছু গ্রহণ করবে না। তোমরা কি মিথ্যা
  • অপবাদ এবং প্রকাশ্য পাপাচরণ দার! তা গ্রহণ করবে?
  • ২১. কিরূপে তোমরা তা গ্রহণ করবে, যখন তোমরা একে অপরের সাথে একান্ত
  • আপনজন হয়ে মিশে ছিলে এবং তারা তোমাদের নিকট হতে দৃঢ় প্রতিশ্রুত গ্রহণ
  • করেছে? …
  • ২২, নারীদের মধ্যে তোমাদের পিতা-পিতামহ যাদের বিয়ে করেছেন, তোমরা তাদের
  • বিয়ে করো না। পূর্বে যা হবার হয়ে গিয়েছে। এটি অত্যন্ত জঘন্য অশ্লীলতা এবং
  • অসন্ুষ্টির কাজ আর অতান্ত নিকৃষ্ট পন্থা।
  • ২৩. তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে তোমাদের মাতা, কন্যা, ভগ্মী, খালা, ভরাতুষ্পত্রী
  • বোনজী-দুধ-মাতা, দুধ-বোন, শাশুড্রী ও তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যার সাথে … …. ১৪১
  • ২৪, আর তোমাদের জনয হারাম সে সমত রনীগণ, যাদের স্বামী বর্তমান রয়েছে ভবে
  • ….. যাদের তোমরা যালিক হয়েছ, তারা তোমাদের জন্য হারাম নয়, এটি ….
  • ২৫. তোমাদের মধ্যে কারো হ্াধীনা ঈমানদার নারী নিয়ে করার সামখ্য না থাকলে
  • তোমরা তোমাদের অধিকারভুক্ত ঈমানদার নারী বিয়ে করবে; আল্লাহ তোমাদের
  • ঈমান স্ধদ্ধে পরিজ্ঞাত। তোমরা একে অপরের সমান, সুতরাং তাদেরকে বিয়ে করবে
  • তদের মালিক পরম দয়াহু। ১৬৩
  • ২৬, আল্লাহ্‌ পাক ইচ্ছা করেন, 85
  • তোমাদের পূর্ববরতীদের পথ মহাজ্ঞানী রজ্ঞাময়। ১৭৯
  • ২৭. আল্লাহ্‌ পাক তোমাদেরকে ক্ষমা করতে চান, আর যার কুবি অনুসরণ করে,
  • তারা চায় যে, তোমরা ভীষণভাবে পথগ্ুত হও। নর
  • ২৮. আল্লাহ্‌ তোমাদের ভার লঘু করতে চান, মানুষ সৃষ্টিগতভাবেই দূর্বল ।
  • ২৯, হে মুমিনগণ! তোমরা পরস্পর স্তকরমে বাবসা ঝাতীত একে অনোর ধর থ্াস
  • | করো না। এবং নিজেদেরকে … অত্যন্ত দয়াবান। ১৮৫
  • ৩০. এবং যে কেউ সীমালংঘন করে ও অন্যায়ভাবে তা করে, তাকে অচিরেই অগ্লিতে দগ্ধ
  • করব; এবং তা আল্লাহ্‌র পক্ষে সহজ কাজ। ১ ৯৯৩
  • ৩৯. যদি তোমরা বড় বড় নিষিদ্ধ কাজগুলো থেকে বিরত থাক, তবে আমি তোমাদের
  • ছোট ছোট পাপগুলো মোচন করে দেব এবং একটি অত্যন্ত সগ্মানিত স্থানে প্রবেশের
  • স্বযোগ দিব।
  • ৩৯. যা দিয়ে আল্লাহ্‌ তোমাদের কাউকে কারে উপরে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন তোমরা তার
  • আকাঙচ্ষা করো না। পুরু .. … আল্লাহ্‌ সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ । ২১০
  • ৩৩ পিতা-মাতা ও আত্মীয়-্জনের পরিত্যন্ত সম্পত্তির প্রত্যেকটির জন্য আমি
  • উত্তরাধিকারী করেছি এবং যাদের .. . আল্লাহ্‌ সব বিষয়ে দ্রষ্টা। ২১৫

৩৪. পুরুষ নারীর পরিচালক, কারণ আল্লাহ্‌ তাদের এককে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান
করেছেন এবং তাদের ধন-সম্পদ . নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ মহান, শ্ে্ঠট। ২২৬
৩৫. আর যদি তোমরা উভয়ের মধ্যে আশংকা কর, তা হলে তোমরা স্বামীর পক্ষ হতে
একজন বিচারক আর স্ত্রীর পক্ষ হতে একজন ……… এবং সবকিছুর খবর রাখেন। ২৪২
৩৬. তোমরা আল্লাহ্‌র ইবাদত করবে ও কোন কিছুকে তীর শরীক করবে না এবং
পিতা-মাতা আস্বীয়-স্বজন, ইয়াতীম অভাবপ্স্ত, নিকট প্রতিবেশী, দূর প্রতিবেশী,
সঙ্গী-সাথী, পথচারী এবং তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসীদের প্রতি
.পসন্দ করেন না।

৩৭. যারা কৃপণতা করে এবং মানুষকে কৃপণতার নির্দেশ দেয় এবং আল্লাহ্‌ নিজ অনুগ্রহে
তাদেরকে ঘা দিয়েছেন তা গোপন করে। সত্য পরত্যাখানকারীদের ………. রেখেছে। ২৬১

৩৮. আর যারা মানুষকে দেখাবার জন্য তাদের ধন-সম্পদ ব্যয় করে এবং আল্লাহ্‌ ও
আখিরাতে বিশ্বাস করে না, আল্লাহ্‌ তাদেরকে ভালোবাসেন না আর .. কতইনা মন্দ। ২৬৫

৩৯. তারা আল্লাহ্‌ ও শেষ দিনে বিশ্বাস করলে এবং আল্লাহ্‌ তাদেরকে যা প্রদান করেছেন
.. ভালভাবে জানেন।

৪০. নিশ্চয় আল্লাহ্‌ পাক এক বিন্দমাত্রও অত্যাচার করেন না। আর যদি কোন নেক কাজ
থকে করেন।

৪১. তখন তাদের কি অবস্থা হবে যখন আমি প্রত্যেক উদ্মত থেকে সাক্ষী হাধির করবো?
হে রাসূল!) আপনাকে তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষীরূপে উপস্থিত করবো। ..
৪২. সেদিন যারা কাফির হয়েছে এবং (আমার) রাসূলের কথা অমান্য …

৪৩, হে মুসিনগণ! তোমরা যখন নেশাধস্ত অবস্থায় থাক, তখন …… অতীব ক্ষমাশীল। ২৭৮
৪৪. তুমি কি তাদেরকে দেখনি যাদেরকে কিভাবের এ অংশ দেয়া ……. এটাই কামনা

করে। ৩০৪

আনেন। অভিভাবক আল্লাুই যবে এবং

৪৫. আল্লাহ্‌ ভোমাদের শক্রুদেরকে ভা
সাহাঘো আল্লাহই যথেষ্ট । ..
৪৬. ইয়হুনীদের মধ্যে কতকলোক বথাগুনোর অর্থ বিকৃত করে এবং বল, শ্রবণ করলাম
ও অল্ল-সংখ্যকই বিশ্বাস করে। …..

৪৭. হে আহলে কিতাবগণ! তোমরা ঈমান আন সেই কিতাবের উপর যা আমি নাধিল
করেছি, যা সেই কিতাবের . আদেশ কার্যকরী হয়েই থাকে। ৩১২

৪৮. আল্লাহ্‌ তার শরীক করার অপরাধ ক্ষমা করবে না। তা ব্যতীত অন্যান্য যাকে ইচ্ছা
মহাপাপ করে। ৩১৭
করেননি, যারা নিজেদেরকে পবিত্র মনে করে? এবং
… করা হবে না।
৫০. হে রাসূল!) দেখুন, তারা কিভাবে আল্লাহ্‌ পাকের প্রতি মিথ্যা দোষারোপ করছে,
আর প্রকাশ্য পাপ হিসাবে এটাই যথেষ্ট । . ৩২৪
৫১. €হে রাসূল!) আপনি কি তাদের প্রতি লক্ষ্য করেননি, যাদেরকে আসমানী কিতাবের

কি অংশ প্রদান করা হয়েছে, তারা …. অধিকতর দুপথগামী। ৩২৪
৫২. এ সমস্ত লোকের উপরই আন্ধাহ্‌ তা’আলা লা’নত করেছেন এবং

্ .. কোন সাহযাকারী পাবেন না। ৩৩১
৫৩, তবে কি তাদের জন্য রাজত্বে কোন অংশ রয়েছে? (যদি তাই হতো) তবে তারা

খেজুরের , . দিতে না। ৩৩২
৫৪. অথবা তারা কি এজন্যে লোকদের সাথে হিংসা করে যে. আল্লাহ্‌ পাক নিজের

করায় .. . দান করেছি। ৩৩৪

৫৫. এরপর ভার উপর ঈমান এনেছি, আর অনেকে তা থেকে বিরত হয়েছে! আর তাদের
শোস্তির জন্য) দোযখের অগনিশিখাই যথেষ্ট . ৩৩৮
৫৬. যারা আমার আয়াতকে প্রত্যাখান করে তাদেরকে অগ্নিতে দগ্ধ করাই; যখনই তাদের
চর্মদগ্ধ হবে তখনই এটাই স্থরে .. পরাক্রমশালী, এজ্ঞাময়।
৫৭. আর যারা ঈমান এনেছে এবং নেক কাজ করেছে অদূর ভবিষ্যতে আমি তাদেরকে
এমন বেহেশত প্রবেশ করাব, যার .” .- ছায়ায় প্রবেশ করাব।

_৫৮ নিশ্চয়ই আল্লাহপাক তোমাদেরকে আদেশ করেছেন যেন তোমরা আামানতসমূহ তার

অধিকারিগণকে ফেরত দিয়ে দাও এবং যখন ….. … সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাত।

৫৯, হে মুমিনগণ! তোমরা আনুগত্য কর মহান আল্লাহ্‌র আনুগত্য কর রাসূলের এবং
তাদের কথা মেনে চলো যারা তোমাদের মধ্যে .. , অত্যন্ত আনন্দদায়ক । ৩৪৭

৬০, (লা পিতার তি করন তারা
, দূরে সরিয়ে রাখতে ইচ্ছা করে।

৬১. তাদেরকে যখন বলা হয় আল্লাহ্‌ তা’আলা যা অবরভী্ণ করেছেন তার দিকে

্ নিতে দেখবে। ৩৫৯
৬২. ভাদের কৃতকর্মের জন্য যখন তাদের উপর কোন মুসীবত আপতিত হবে তখন
তাদের অন্য কিছুই চাই না। ৩৬০

৬৩. এদের অন্তরে কি আছে আল্লাহ্‌ পাক তা খুব ভাল;

রঃ সম্পর্কে স্পর্শকরে। ৩৬০
আর আমি রাসূলদেরকে এ জন্য প্রেরণ করেছি যেন আন্রাহ্‌ পাকের আদেশক্রমে
দয়ময় পাবে। ৩৬১
. কাজেই, হে রাসূল! আপনার প্রতিপালকের শপথ যে, তারা কখনো মুমিন হতে
পারবে না।.. ** মেনে না
নেয়। ৩৬৩
আর যদি আমি তাদের এই আদেশ দিতাম যে, তোমরা নিজেরাই নিজেদেরকে হত্যা
কর. অধিক দৃঢ্তর হত। ৩৬৬

. যারা পরকালের বিনিময়ে পার্থিব জীবন বিক্রি করে, তাদের কর্তব্য হলো

“যারা মু’মিন তারা আল্লাহ্‌র পথে জিহাদ করে এবং যারা কাফির তারা শয়তানের

(হে রাসুল!) আপনি-কি তাদের কথা জানেন না, যাদেরকে বলা হয়েছিল, তোমরা

এবং তখন আমি আমার নিকট হতে তাদের নিশ্চয় যেদি তারা এ সমস্ত কাজ করত)
তবে
এবং নিশ্টয়ই আমি তাদেরকে সরল সঠিক পথ প্রদর্শন করতাম ।

‘আর যারা আল্লাহ্‌ পাক ও তীর রাসূলের ভাবেদারী করার, তারা (আখিরাতে) সে
শ …” সর্বোত্তম সাথী।

এ হলো মহান আল্লাহ্‌র দান। জ্ঞানে আল্লাহ্‌ তা’আলাই যখেষ্ট।… . ৩৬৮

হে মুমিনগণ: সত্তা অবলহ্বন কর। এরপর হয় দলে দলে বিভক্ত হয়ে অগ্রসর হও
অথবা এক সংগে আসর হও। . ৩৭২
এবং তোমাদের মধ্যে এমন লোকও আছে যারা (জিহাদের ন্যায় কর্তব্য পালনে)
অবহেলা করে, এরপর যদি তোমাদের . উপস্থিত ছিলাম না। ৩৭৩
আর যদি আল্লাহ্‌ তা’আলার দান তোমাদের প্রতি অর্থাৎ আল্লাহ্‌ তা’আলা
তোমাদেরকে জয়ী করেন) তবে যেন ভোমাদের ও তার মধ্যে কোন …… করতাম ॥ ৩৭৫. |

দানকরব। ৩৭৫
এবং তোমাদের কি হয়েছে যে, তোমরা আল্লাহ্‌ পাকের রাহে জিহাদ করো না? এবং
… প্রেরণ করো।

জানেন। সুতরাং আপনি ক

রতিদানদিতাম। ৩১৭ |

পথে সংগ্াম করে কাজেই তোমরা শয়তানের … অবশ্যই দুর্বল। ৩৭৯

ভুুম করা হবে না।

(পনের)
পৃষ্ঠা

তোমরা যেখানেই থাক না কেন মৃত্যু তোমাদের অবশ্যই নাগল পাবে যদিও তোমরা
সুদ দুর্গের মধ্যে থাক | আর যদি .. . বুঝার নিকটবর্তী হয় না। ৩৮৩

যা কিছু তোমাদের জন্য কল্যাণকর হয় তা আল্লাহ্‌ পাকের তরফ থেকে এবং অক্যাণ
যা আল্লাহ্‌ পাকই যথেষ্ট । ৩৮৬

৮০, যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র রাসূলের তাবেদারী করে সে বস্তুত আল্পাহ্‌ তা’আলারই
» থ্েরণ করেনি। ৩৮৮
এবং বলে থাকে যে, আমরা (আল্লাহ্‌ ও তার রাসূলের) তাবেদার, এরপর যখন

আপনার নিকট থেকে দূরে সবে ঘায়, তখন তাদের একদল ..
আল্লাহ্‌ পাকই যাথেষ্ট। ৩৮৯

.

তারা কি কুরআনের মধ্যে চিন্তা করে না? যদি তা আল্লাহ্‌ ..

যখন শাস্তি অথবা শংকার কোন সংবাদ তাদের নিকট আনে তখন তারা তা প্রচার
অনুসরণ করত। ৩৯

৮৪. সুতরাং আল্াহ্‌ তা’আলার পথে সংঘ্রাম করুন, আপনাকে শুধু আপনার জন্য
রি শাক্তিদানে কঠোরতর। ৩৯৯

৮৫. যে ব্যক্তি (অপরকে) ভাল কাজের সুপারিশ করবে, সে তা থেকে অংশ পাবে। আর
যেব্যক্তি শিদানকারী। ৪০০
আর যখন তোমাদেরকে কেউ সালাম দেয়, তখন তোমরা তার চেয়ে ভাল কথায়
জবাব দাও, অথবা অনুরূপ কথাই বলে . .. হিসাব গ্রহণ করবেন। ৪8০৩
আল্লাহ্‌ পাক, তিনি ভিন্ন অন্য কেউ বন্দেগীর উপযুক্ত নেই। এতে সন্দেহের কোন
অবকাশ নেই যে, তিনি নিশ্চয়ই তোমাদেরকে ………… অধিক সত্যবাদী কে হবে? ৪০৫
(হে সু’মিনগণ!) তোমাদের কি হল যে তোমরা সুনাফিকদের ব্যাপারে দু’দল বিভক্ত
হলে? অথচ আল্লাহ্‌ তা’আলা তাদেরকে .. কোন পথ পাবে না।
৮৯. কাফিররা এ আকাঙ্ঘণ করে বলে তোমরাও তাদের ন্যায় কাফির হয়ে যাও, যেন
তোমরা (আল্লাহ্‌ পাকের নাফরমানগণই) তাদের সমান হয়ে যাও। এতএব ………
হিসাব গ্রহণ কর না।

৯০. কিন্তু তাদেরকে হত্যাকর না যারা এমন সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্কে রাখে, যাদের ……
, করার কোন পন্থা! দেননি। ৪১৩

৯১. তোমরা কিছু লোক পাবে যারা তোমাদের সাথে ও তাদের সম্প্রদায়ের সাথে শাস্তি
চায় অধিকার দিয়েছি।

কোন মু’মিনকে হত্যা করা কোন মুমিনের কাজ নয়, তবে ভুলবশত করলে তা
স্বতন্তর। এবং কেউ কোন মু’মিনকে .. আল্লাহ্‌ সর্ব, পরজ্ঞাময়॥ ৪২৩,
আর যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে কোন মু’মিনকে হত্যা করলে তার শাস্তি জাহান্নাম সে
তাতে চিরদিন থাকবে । আল্লাহ্‌ পাক তার প্রতি .. মহাশাস্তিপর্তুত করেছেন, ৪৩৮

হে মুমিনগণ! তোমরা যখন আল্লাহ্‌র রাহে জিহাদ কর তখন সকল বিষয়ে উত্তমরূপে
অনুসন্ধান করে কাজ করো এবং যে তোমাদেরকে খবর রাখেন। 8৪৭.
ম্বামিনগণ কোন ওযর ব্যতীত বলে থাকে ঘোরা যুদ্ধে যায় না) তারা সেই বীর
সুজাহিদগণের সমান হবে না, যারা .. করে দিয়েছেন। ৪৫৭
আল্লাহ্‌ তা’আল! …পরম দয়ালু। ৪৬৩
নিশ্চয়ই যারা পাপকার্য ছারা নিজেদের ওপর অত্যাচার করে, তাদের ফেরেশতাগণ
বলে জান কবয করার সময় তোমরা কী অবস্থায় ছিলেঃ মন্দ বাসস্থান । ৪৬৫
তবে যে সব অসহায় পুরুষ, নারী ও শিশু কোন উপায় করতে পারে না এবং কোন
পথও পায় না।
এসব লোকের ব্যাপারে আশা আছে যে, আল্লাহ্‌ পাক তাদেরকে

পরম ক্ষমাশীল। ৪৬৫

১০০. আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌ পাকের পথে হিজরত করে সে লাভ করবে বহু আশ্রয়স্থল এবং

রা্য এবং যে ব্যক্তি নিজ গৃহ থেকে এজন্য বের হয় .. . পরম দয়ালু। ৪৭৩

সুচিপত্র – তাফসীরে তাবারী ৮ম খন্ড

সূরা নিসা

তোমরা যখন দেশ-বিদেশে সফর করবে তখন যদি তোমাদের আশংকা হয় যে,
কাফিররা .. ..-* প্রকাশ্য শক্রু।
(হে রাসূল!) যখন আপনি তাদের মধ্যে থাকেন ও তাদেরকে নামাযে দাড় করান, তখন
তাদের – শাস্তির ব্যবস্থা রেখেছেন।
যখন তোমরা সালাত মা করবে তখন দাড়িয়ে বসে এবং শুয়ে আল্লাহ্‌কে স্মরণ
করখে; …. …মু’মিনদের অবশ্য কর্তব্য।

আর শক্র সম্প্রদায়ের সন্ধানে তোমরা হতোদ্যম হয়োনা। যদি তোমরা যন্ত্রণা পাও তবে
তারাও -. আল্লাহ্‌ সর্বজ্ঞ, গজ্ঞাময়।

১০৫-১০৬. ভীপনার তিতা সই-কিতার অবডীধ করেছি যোতেনজন্তাহআগনাকে-্া

জানিয়েছেন, পরম দয়ালু।
যারা নিজেদেরকে প্রতারিত করে, (হে রাসূল!) আপনি তাদের পক্ষে বাদ-বিসম্বাদ
করবেন না। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ পাক বিশ্বাস ভঙ্গকারী ও মহা পাপীকে পছন্দ করেন না।……

(এসব লোকের অবস্থা এই যে,) তারা মানুষ থেকে আত্মগোপন করে থাকে, কিন্তু

হুশিয়ার! তোমরাই সেসব লোক, রা তালের পেতো জহর জীন লে
বিতর্ক করছ। … -হয়ে কাজ করবে?

কে কোন করে জে তি নে পরে নার লাছে সা
প্রার্থনা করলে আল্লাহ্‌কে সে ক্ষমাশীল, দয়ালু পাবে। ….. ও
কেউ গুনাহ করলে সে তা নিজের ক্ষতির জন্যেই করে এবং আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময় ।..

কেউ কোন .. * বোঝা বহন করে।

যি আপনার প্রতি আল্লাহর অনু্হ ও করুণা না হত, তবে তানের একদল জাপনাকে
পথত্রষ্ট করতে চাইত-ই -” মহা অনুথহ রয়েছে।

তাদের অধিকাংশ গোপন পরামর্শে কোন কল্যাণ নেই, তবে কল্যাণ আছে যে দান
খয়রাত সৎকার্য . -. দান করবো।

যে ব্যক্তি এরূপ, তার নিকট সত্য প্রকাশ হওয়ার পরও আল্লাহ্‌ তা’আলার রাসূলের

বিরোধিতা … ..- আবাস স্থল।
নিশ্চই আল্লাহ পাক সর সাথে শিরক করাকে ক্ষমা করেন না। এতবযতীত অন্যানা
গুনাহ, , সরে পড়েছে।

তার পরিবর্তে তারা দেবীরই পূজা করে এবং বিদ্রোহী শয়তানেরই পূজা করে ।………..
আল্লাহ তাকে লানত করেন এবং সে বলে, আমি অবশ্যই তোমার বান্দাদের এক নির্দিষ্ট অংশকে আমার অনুসারী করে নিব। . আর আমি তাদেরকে অবশ্যই পথ করব এবং আমি অবশ্যই ভাদের অন্তরে মখযা বাসনা সৃষ্টি ্ ক্ষতিথন্ত হয়। লে ভাদেরকে প্রতি দের এবং তাদের হযে মিথ্যা বাসনার ৃষটিকরে এবং শয়তান তাদেরকে যে তা ছলনা মাত্র। তাদের আশ্রয়স্থল জাহান্নাম, তা হতে তারা নিষ্কৃতির উপায় পাবে না টা এবং যারা ঈমান আনে ও নেক কাজ করে, তাদেরকে দাখিল করব জান্নাতে, যার পাদদেশে ……… …. সত্যবাদী?
তোমাদের খেয়াল-ঝুশি ও কিতাবীদের খেয়ালী অনুসারে কাজ হবে না, কেউ মন্দ
পাবে না।
যে কেউ নেক আমল করে সে পুরুষ হোক্‌ অথবা নারী, যদি সে মু’মিন হয়, তবে এমন
লোকেরাই জান্নাতে প্রবেশ করবে । আর তাদের প্রতি এতটুকু যুল্ম্‌ করা হবে না। ্
আর ধর্মের ব্যাপারে সে ব্যক্তির চেয়ে ভাল কে, যে সৎকর্মপরায়ণ হয়ে আল্লাহর নিকট
্ .. গ্রহণ করেছেন
আসমান ও যনে যা কিছু আছে সব আল্লাহরই এবং সবকিছুকে আল্লাহ পরিবেষ্টন করে
রেখেছেন। ……….
আর [হে রাসূল? মানুষ আপনার নিকট নারী জাতি সন্ধে জাতে চায়। (আপনি) বলে
দিন, আল্লাহ পাক ….. -. অবহিত।
যদি কোন নারী তার স্বামীর অন্যায় আচরণ অথবা উপেক্ষার ভয়ে ভীত হয় তবে তারা
উভয়ে …. …. নিষ্পত্তিই উত্তম ।
আর তোমরা যতই ইন্য করনা কেন, ভোমাদের জীদের তি সমান ব্যবহার করতে
কখনও পারবে না; ,* পরম দয়ালু
যদি তারা পরস্পর পৃথক হয়ে যায় তবে আল্লাহ্‌ তার প্রাচূর্য ছারা তাদের প্রত্যেককে
অভাবমুক্ত করবেন। আল্লাহ্‌ প্রাচু্যময়, প্রজ্ঞাময় ।….
আসমান ও যমীনে যা কিছু আছে তার স্বত্ব একমাত্র আল্লাহ পাকেরই ! তোমাদের পূর্বে
যাদেরকে … তিনি স্বয়ং প্রশংশিত।
আসমানসমূহ ও যীনে যা কিছু আছে, সব আল্লাহরই এবং কর্মবিধানে আল্লাহই
যথেষ্ট ।,

(হে মানবমন্ডলী!) তিনি ইচ্ছা করলে তোমাদেরকে অপসারিত করে অপরকে আনতে
পারেন এবং আল্লাহ্‌ পাক তা করতে সম্পূর্ণ সক্ষম! ….
কউ হহকালেরাপুরকার ভালে (লি রানানাুক বে) আলা ন্রিউহহবাদনত
পরকালের পুরঙ্কার রয়েছে। আল্লাহ্‌ সর্বশ্রোতা, সর্ব দ্রষ্টা। .
হে মুমিনগণ! তোমরা ন্যায় বিচারে দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত থাকবে আল্লাহ্‌র সাক্ষী স্বরূপ, যদিও
তা… … খবর রাখেন।

নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনেছে ও পরে অবিশ্বাস করেছে, অতঃপর তাদের কুফরী প্রবৃত্তি বৃদ্ধি

করেছে, . .. করবেন না।
ছে রাস) ুনাফিকদেরকে আপনি জানিয়ে দিন যে, তাদের জন্য অন বেদনাদায়ক
শাস্তি রয়েছে।..
মু’মিনগণের পরিবর্তে যারা কাফিরদেরকে বন্ধরূপে গ্রহণ করে, তারা কি ওদের নিকট
শক্তি চায়? সমস্ত শক্তি তো আল্লাহ্‌র নিকট
কিতাবে তোমাদের প্রতি তিনি অবতীর্ণ করেছেন যে, তোমরা যখন শুনবে আল্লাহ্‌ আয়াত
অস্বীকার ও উপহাস করা হচ্ছে, …
বারা তোমাদের অমঙ্গলের প্রতীক্ষায় থাকে, আল্লাহ্‌র অনুগ্বহে তোমাদের জয় হলে তারা
বলে. পথ খোলা রাখবেন না।
নিশ় মুনাফিকরাই আল্লাহকে ুতারিত করতে চায়, বনুতঃ ভিনিই ভাদেরকে প্রতারণার
ফল দিয়ে… …-****তারা স্বপ্নই স্মরণ করে।
দোটনায় দোদুলযমান; না এদের দিকে, না ওদের দিকে। এবং আল্লাহ্‌ যাকে পথভ্রষ্ট
করেন, আপনি তার জন্যে কখনও কোন পথ পাবেন না…
হে মুমিনগণ! মু’মিনদের পরিবর্তে কাফিরদের বন্ধরূপে গ্রহণ করো না। তোমরা কি
আল্লাহকে তোমাদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট প্রমাণ দিতে চাও? …………
মুনাফিকরা তো জাহান্নামের নি্ স্তরে থাকবে এবং তাদের জন্যে তুমি কখনও কোন
সহায় পাবে না।..
কিছু যারা তাওা করে, নিজেদেরকে সংশোধন করে, আল্লাহকে দৃঢভাবে অবলন করে
এবং আল্লাহ্‌র উদ্দেশ্যে তাদের দীনে… মহা পুরষ্কার দিবেন।
যদি তোমরা আল্লাহ্‌ পাকের নিকট কৃতজ্ঞ হও এবং তার প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন কর
তবে তোমাদের শান্তিতে আল্লাহ্‌ পাকের কি লাভে? . দাতা ও মহাজ্ঞানী ।

মন্দ কথার প্রচারণা আল্লাহ্‌ পছন্দ করেন না; তবে যার উপর জুলুম করা হয়েছে তার
কথা স্বতন্ত্র; এবং আল্লাহ্‌ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। . রর
তোমরা সৎকর্ম প্রকাশ্যে করলে অথবা গোপনে করলে অথবা দোষ ক্ষমা করলে,
আল্লাহ্‌ও দোষ মোচনকারী, সর্বশক্তিমান । .

১৫০-৫১ যারা আল্লাহ্‌ ও তার রাসুলগণকে প্রত্যাখ্যান করে এবং মহান আল্লাহ্‌ ও তার রাসূলের

প্রতি ঈমানের ব্যাপারে …. শাস্তি রস্তুত রেখেছি।
এবং যারা আল্লাহ্‌ পাক ও তার রাসূলের প্রতি ঈমান এনেছে এবং রাসূলগণের মধ্যে
কোন .. .. অতীব দয়াময়।

(হে রাসূল!) আপনার নিকট আহলে কিতাবগণ এই দাবী করে যেন আপনি আসমান
থেকে ,.. – ক্ষমতা প্রদান করলাম ।
এবং আমি তাদের নিকট অঙ্গীকার গ্রহণের জন্য তাঁদের উপর তুর পাহাড়কে তুলে ধরেছি
্ অঙ্গীকার গ্রহণ করেছি।
এবং ভারা লাজ হয়েছিল তাদের অন্গীকার ভর জন্য, আল্লাহ্‌র আয়াতকে
প্রত্যাখ্যান করার জন্য .. -:০ বিশ্বাস করে।
আর তারা লা’নতগরস্ত হয়েছিল তাদের কুফ্রীর কারণে ও মারয়ামের বিরদ্ধে গুরুতর
অপবাদর জন্য .. রঃ
আর “আমরা আল্লাহর রসূল মারইয়াম তনয় সা মলীহকে হত্যা করেছি”_তাদের এ
উক্তির জন্য , হত্যা করেনি।
না, আল্লাহ্‌ তাঁকে তার নিকট তুলে নিয়েছেন এবং আল্লাহ্‌ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় ।……
‘কিতাবীদের মধ্যে প্রত্যেকে তার মৃত্যুর পূর্বে তীকে বিশ্বাস করবেই এবং কিয়ামতের দিন
সে তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে। ….

সীমালংঘন ….
কিন্তু তাদের মধ্যে যারা জ্ঞানে সুগভীর তারা ও মু’মিনগণ তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ করা
হয়েছে …পুরক্কার প্রদান করব।
তোমার নিকট ওহী প্রেরণ করেছি, যেমন নূহ ও তর পরবর্তী নবীগণের নিকট প্রেরণ
করেছিলাম, .. .. যাবুর দিয়েছিলাম ।
অনেক রাসূল প্রেরণ করেছি যাদের কথা পূর্বে আপনাকে বলেছি এবং অনেক রাসূল
যাদের কথা আপনাকে বলিনি এবং মুসার সাথে আল্লাহ্‌ সাক্ষাৎ বাক্যালাপ
করেছিলেন।

কিন্তু যারা এরূপ যে, তোমরা তাদেরকে পাকড়াও করার পূর্বেই তারা তওবা করে
(তোদের ভয় নেই)। একথা জেনে রাখ যে, …. … দয়াবান।
হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর, তাঁর নৈকট্য লাভের উপায় অন্বেষণ কর ও তার পথে
সংগ্রাম কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।

নিশ্চয়ই যারা কাফির হয়েছে, দুনিয়াতে যা কিছু আছে সবই যদি তাদের হয় এবং সঙ্গে
আরও… .. আযাব রয়েছে ।
তারা অগ্নি থেকে বের হতে চাইবে, কিন্তু তারা তা থেকে বের হবার নয় এবং তাদের
জন্য স্থায়ী শাস্তি রয়েছে। . মা
পুরুষ কিংবা নারীচুরি করলে তাদের হস্তচ্ছেদন কর, এ তাদের কৃতকর্মের ফল এবং
আল্লাহ্‌র নির্ধারিত আদর্শ দন্ড। আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় । …… .
কিন্তু সীমা লংঘন করার পর কেউ তাওবা করলে ও নিজেকে সংশোধন করলে আল্লাহ্‌
তার তাওবা কবৃল করবেন। আল্লাহ্‌ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। ……………….
(হে রাসূল! আপনি কি জানেন না যে, আসমান ও যমীনের ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ্‌
পাকের । তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে শাস্তি …. .. সম্পূর্ণ ক্ষমতাবান
হে রাসূল! সে সমস্ত লোক যেনো আপনাকে চিন্তিত না করে, যারা কুফ্রী কাজে
দ্রুতবেগে অগ্রসর ….
তাস মিঘা বটে অভি হুর গালা! হের? এপ
বি রন তাতে
আল্লাহর হুকুম বর্তমান… মুমিন নয়।

সুচিপত্র – তাফসীরে তাবারী pdf ৯ম খন্ড

৪৪ হুতে ১২০ আয়াত

নিশ্চয় আমি তাওরাত নাষিল করেছিলাম, জেব্রা হর হা

হে মুমিনগণ! তোমাদের মধ্যে ..
(তোমাদের বন্ধুতো আল্লাহ, তার রাসূল

আর (হে রাসূল!) আপনি দেখবেন,
তাদের সাধু ও ধর্মযাজকরা কেন.

যারা বলে, আল্লাহই মারইয়াম তনয়…
যারা বলে, আল্লাহ তো তিনের মধ্যে একজন, তারা তো কুফরী করেছেই; যদিও
এক ইলাহ ব্যতীত. শান্তি আরোপিত হবে ।
তবে কি তারা আল্লাহ্‌র দিকে প্রত্যাবর্তন করবেনা ও তীর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা
করবে না? আল্লাহ্‌ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু
মসীহ ইবন মারইয়াম তো শুধু একজন রসূল, ভার পর্বে বহু রসূল গত হয়েছেন।
তার মাতাও একজন-সত্যবাদিনী ).. … তারা ফিরে যায়?

(হে রাসূল) আপনি জিজ্ঞাসা করুন, তোমরা কি আল্লাহ পাক ব্যতীত এমন
বন্তুসমূহের বন্দেগী কর, যারা তোমাদের .. …সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।

(হে রাসূল) আপনি বলে দিন, হে আহলে কিতাব, তোমরা তোমাদের ধর্ম সম্পর্কে
অন্যায় বাড়াবাড়ি কর না. … খেয়াল-খুশীর অনুসরণ কর না।
বনী ইসরাঈলের মধ্যে যারা কুফ্রী করেছিল, তারা দাউদ ও মারইয়াম তনয় ঈসা
কর্তৃক অভিশপ্ত-তা এ কারণে যে, তারা ছিল অবাধ্য ও সীমা লংঘনকারী।……

তারা যেসব গর্হিত কার্য করতো, তা থেকে তারা একে অন্যকে বারণ করতো না।
তারা যা করতো, তা কতইনা নিকৃষ্ট । ..
তাদের অনেককে আপনি কাফিরদের সাথে বনু করতে’ দেখবেন কত নিকৃষ্ট
তাদের কৃতকর্ম, যে কারণে আল্লাহ্‌ তাদের ওপর ক্রোধাবিতে.. ভোগ স্থায়ী হবে।
তারা আল্মাহ্র নবীতে ও তার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে বিশ্বাসী হলে
ওদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করত না; কিন্তু ভাদের অনেক সত্যত্যাগী ৷
অবশ্য মুমিনদের প্রতি শক্রতায মানুষের মধ্যে ইয়াহদী ও মুশরিকদেরকেই তুমি
সর্বাধিক উপর… -করেনা।

রাসূলের প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তা যখন তারা শ্রবণ করে, তখন তারা যে সত্য

এবং তাদের এই কথার জন্য আল্লাহ্‌ তাদের পুরষ্কার নিিস্ট করেছেন জানত, যার
পাদদেশে নদী প্রবাহিত ।……. ‘সৎকর্মপরায়ণদের পুরস্কার ।
যারা কুফ্রী করেছে ও আমার আয়াতকে অগ্রাহ্য করেছে, তারাই জাহারামবাসী।
হে মুমিনগণ! আল্লাহ তোমাদের জন্য উৎকৃষ্ট যে সব বন্তু হালাল করেছেন, সে
সমূহকে তোমরা হারাম… … করেন না।
আল্লাহ্‌ তোমাদেরকে যে হালাল ও উত্কৃষট দিয়েছেন, তা হতে ভক্ষণ কর
এবং ভয় কর আল্লাহকে, যার প্রতি তোমরা বিশ্বাসী.।…
তোমাদের পপর নাহ তোমাদেরকে দার করবেননা, কিন
যেসব শপথ তোমরা… …- জ্ঞাপন কর।

হে মুমিনগণ! মদ, জুয়া, মূর্তি পূজার বেদী ও ভাগ্য নির্ণায়ক শর স্ৃণ্য বনু,
শয়তানের কার্য ।.. .-হতে পার ।

শয়তান তো মদ ও জুয়া ঘ্বারা তোমাদের মধ্যে শক্রতা ও বিদ্বেষ ঘটাতে চায় এবং
তোমরা আল্লাহ্‌র আনুগত্য কর ও রাসূলের আনুগত্য কর এবং সতর্ক হও; যদি
তোমরা সুখ .. ‘আমার রাসূলের কর্তব্য ।

যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তারা পূর্বে যা তক্ষণ করেছে এর জন্য তাদের
কোন পাপ নেই…
হেস্মিলগণ! তোমাদের হাত ও বর্ণ যা পিকার করে সে বিষয়ে আল্লাহ্‌ অবশ্য
তোমাদেরকে, ..শাস্তি রয়েছে।

হে মুমিনগণ! ইহরাম অবস্থায় তোমরা শিকারের জন্তু হত্যা করোনা । তোমাদের
মধ্যে যে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে তা হত্যা কররে………….. প্রতিশোধ গ্রহণকারী ।

তোমাদের জন্য সমুদ্রের শিকার করা ও তা তক্ষণ হালাল করা হয়েছে তোমাদের ও
পর্যটকদের ভোগের জন্য .. একত্র করা হবে।

পবিত্র কা“বা গৃহ পবিত্র মাস, কুরবানীর জন্য কা’বায় প্রেরিত পণ্য ও গলায় মালা
পরিহিত পত্ডকে….. আল্লাহ্‌ সর্ব বিষয়ে সর্বজ্ঞ।

প্রচার করাই কেবল রাসূলের কর্তব্য । তোমরা যা প্রকাশ কর ও গোপন রাখ,
আল্লাহ্‌ তা জানেন
বল, মন্দ ও ভাল এক নয় । যদিও মন্দের আধিক্য তোমাকে চমৎকৃত করে । সুতরাং
হে বোধশক্তি সম্পনেরা! আল্লাহ্‌কে ভয় কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।
হে মু’মিনগণ! তোমরা সেসব বিষয়ে প্রশ্ন করবে না, যা প্রকাশিত হলে তোমরা
দুঃখিত হবে। কুরআন অবতারণের ফছে… .. সহনশীল।

তোমাদের পূর্বেও তো এক সম্প্রদায় এই প্রকার প্রশ্ন করেছিল, এরপর তারা তা
প্রত্যাখ্যান করে।…
বাহীরা, সাইবা, ওাসীলা ও হা আ্লাস্থির করে নি। কিনতু কাফিরগণ আ্রাহর
প্রতি মিথ্যা আরোপ করে এবং তাদের অধিকাংশ উপলব্ধি করে না…..
যখন তাদেরকে বলা হয়, আল্লাহ্‌ যা অবতীর্ণ করেছেন, তার দিকে ও রাস্কুলের
হে মুমিনগণ! আত্ম সংশোধন করাই তোমাদের কর্তব্য । তোমরা যদি সৎপথে
পরিচালিত হও,… . অবহিত করবেন।

হে মু’মিনগণ! তোমাদের কারো যখন মৃত্যুকাল উপস্থিত হয়, তখন ওসীয়ত করার
সময় তোমাদের মধ্য হতে দু’জন ন্যায়পরায়ণ, -+ অন্তর্ভুক্ত হব।
যদি প্রকাশ পায় যে, তারা দু’জন অপরাধে লিপ্ত হয়েছে তবে যাদের স্বার্থহানি
ঘটেছে তাদের মধ্য হতে. ..যালিমদের অন্তু্ি।
এই পদ্ধতিতেই অধিকতর সম্ভাবনা রয়েছে লোকের যথাযথ সাক্ষ্যদানের অথবা
শপথের পর আবার তাদেরকে শ’ ্ৎপথে পরিচালিত করেন না।
স্মরণ কর, যেদিন আল্লাহ্‌ রাসূলগণকে একত্র করবেন এবং জিজ্ঞাসা করবেন,
তোমরা কী উত্তর পেয়েছিলে?…. -.পরিজ্ঞাত।
স্বরণ করুন, যখন আল্লাহ্‌ বলবেন, হে মারইয়াম তনয় ঈসা! তোমার প্রতি ও
তোমার জননীর প্রতি… স্পষ্ট যাদু।
আরও স্মরণ কর, আমি যখন হাওয়ারীদেরকে এ প্রেরণা দিয়েছিলাম যে, তোমরা
আমার প্রতি ও রাসূলের প্রতি… . আত্মসমর্পণকারী ।
স্বরণ কর, হাওয়ারীগণ বলেছিল, হে মারয়াম তনয় ঈসা, আপনার প্রতিপালক কি
আমাদের জন্যে আসমান থেকে.. ..তোমরা মু’মিন হও।
তারা বলেছিল, আমরা চাই যে, তা হতে কিছু আহার করব ও আমাদের চিত্ত
প্রশান্তি লাভ করে.. থাকতে চাই।
মারইয়াম তনয় ঈসা বললেন, হে আল্লাহ্‌! হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের
জন্যে আসমান থেকে… তো শ্রেষ্ঠ জীবিকাদাতা ।
মহান আল্লাহ্‌ বললেন, আমিই তোমাদের নিকট তা প্রেরণ করব, কিন্তু এরপর
তোমাদের .. ‘দিব না।
যখন আল্লাহ বলবেন, হে মারয়াম তনয় ঈসা! তুমি কি লোকদেরকে বলেছিলে যে,
(তোমরা ………. সম্বন্ধে সম্যক পরিজ্ঞাত।
আপনি আমাকে বা জাদেশ করেছেন, তা ব্যতীত তাদেরকে আমি কিছুই বলিনি;
তা এই তোমরা আমার ও…… নু বিষয়ে সাক্ষী ।
যদি আপনি তাদেরকে শান্তি দেন, তবে তারা তো আপনারই বান্দা, যদি তাদেরকে
ক্ষমা করেন, তবে আপনি তো পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়…
আল্লাহ্‌ পাক বললেন, এ-ই সেদিন, জিন সপবাদীপণ তাদের সত্যতার জন্য
উপকৃত হবে, তাদের জন্যে…
আলমান ও বীন এবং এলোর মধ্যে যা আছে তর লার্বভৌমত আন্ত, এবং
তিনি সর্ব বিষয়ে শক্তিমান ।..

সমন্ত প্রশংসা আল্লাহ্র, যিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন, আর তৈরী করেছেন
অন্ধকার ও আলো,
ভিনিই তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি. করেছেন, তারপর এক কাল নিদিষ্ট
করেছেন, এবং আর. একটি
আসমান ও যমীনে তিনিই আল্লাহ্‌,
জানেন এবং ভোমরা…
তাদের প্রতিপাপকের নিদর্শনাবলীর এমন কোন নিদর্শন তাদের নিকট উপস্থিত হয়
না, যা হতে তারা …
সত্য যখন তাদের লিফট এসেছে তারা তা প্রত্যাখ্যান করেছে। ঘা নিয়ে তারা ঠা
বিদ্রপ করত, তার যথার্থ .. রি
তারা কি দেখে না যে, তাদের.
যদি আপনার প্রতি কাগজে লিখিত কিতাবও নাধিল করতাম, আর তারা যদি তা
হস্ত ছারা স্পর্শ করত তবুও ..
তারা বলে, তার নিকট কোন কেন হয়না? ফিরিশতা
অবতীর্ণ করতাম, তাহলে তাদের কর্মের চূড়ান্ত ফয়সালাই তো হয়ে যেত, আর
তাদেরকে কোন…
দি তাকে ফিরিশতা করতাম, তবে তাকে মানুষের আকৃতিতেই প্রেরণ করতাম
আর তাদেরকে সেরূপ বিভ্রমে ফেলতাম, যেরূপ বিভ্রমে ভারা এখন রয়েছে,।…
আপনার পূর্বেও অনেক রাসূলকে ঠান্টা করা হয়েছে; পরিণামে তারা যা ঠাট্টা-বিদ্রপ
করছিল, তা-ই…
বলুন, পৃথিবীতে ভ্রমণ কর, অতঃপর দেখ,
বলুন, আসমান ও যমীনে যা আছে.
রাত ও দিনে যা..
বলুন, আমি কি আসমান ও যমীনের,
বলুন, আমি যদি আপনার প্রতিপালকের অবাধ্য হই তবে জমি তয় করি যে,
মহাদিনের শাস্তি আমার উপর….
সেদিন যাকে তা হতে রক্ষা করা হবে.
আল্লাহু আপনাকে ক্লেশ দান করলে, তিনি ব্যতীত তা মোচনকারী আর কেউ নেই।
আর তিনি আপনার কল্যাণ করলে তবে,
তিনি আপন বান্দাদের উপর…
বলুন, সাক্ষ্য প্রদানে সর্বশ্রেষ্ঠ কী?.

অতঃপর তাদের এটি ভিন বলার অন্য কোন অজুহাত থাকবে না, “আমাদের
প্রতিপালক আল্লাহ্‌র শপথ, আমরাভো মুর্শারিক ছিলাম না”.
দেখ, তারা নিজেরাই নিজেদেরকে কিরুপ মিথ্যাবাদী ্রতিপরর করে এবং বে মিথ্যা
তারা রচনা করত, তা কিভাবে তাদের জন্যে নিক্ষল হল.
তাদের মধ্যে কতক আপনার দিকে কান পেতে কি আমি তাদের অন্তরের
উপর আবরণ দিয়েছি,, ব্যতীত কিছুই নয়।

তারা অন্যকে তা শ্রবণে বিরত
‘আপনি যি দেখতে পেতেন যখন তাদেরকে জরির পারে দীড় করান হবে এবং
তারা বলবে হায়. … অন্তর্ভুক্ত হতাম ।

না পূর্বে তারা ঘা গোপন করত, তা এখন তাদের নিকট প্রকাশ পেয়েছে এবং ভারা
পরত্যাবর্তিত হলেও… তারা মিথ্যাবাদী ।

তারা বলে আমাদের পার্থিব জীবনই…
তুমি যদি দেখতে পেতে তাদেরকে যখন.
যারা আল্লাহ্‌র সম্মুখীন হওয়াকে মিথ্যা বলেছে, তারা অবশ্যই ক্ষতিযত্ত হয়েছে।
এমন কি অকম্মাৎ তাদের নিকট….. … করবে তা অতি নিকৃষ্ট ।

পার্থিব জীবন তো ক্রীড়া-কৌতুক ব্যতীত কিছুই নয় এবং খারা তাকওয়া অবলঘন
করে তাদের জন্যে পরকালের…
অবশ্য আমি জানি যে, তারা যা বলে তা আপনাকে নিশ্চিতই কষ্ট দেয়; কিনতু তারা
আপনাকে… অস্বীকার করে।

টি বল ছকে সা রী কিন্তু তাদেরকে
আপনার নিকট এসেছে।

বানানের উপ বানা নিট
যারা শ্রবণ করে শুধু তারাই আল্লাহ্র ডাকে সাড়া ৷ জার মৃতকে আল্লাহ
পুনজীবিত করেন; অতঃপর ভার.
তারা বলে, তার প্রতিপালকের ..
ভূ-পৃষ্ঠে বিচরণকারী এমন জীব নে.
বায়ার পারে করা বি নেনে মানে
হে রাসূল! আপনি বলুন, তোমরা ভেবে দেখ যে, আল্লাহ্‌র শান্তি তোমাদের উপর
আপতিত হলে অথবা তোমাদের… .. সত্যবাদী হও।

না, শুধু তাকেই ডাকবে? ইচ্ছা করলে যে দুঃখের জন্য তাকে ডাকছে, তিনি
তোমাদের সেই দুঃখ …. বিস্বৃত হবে ।
তোমার পূর্বেও বহুজাতির নিকট রাসূল প্রেরণ করেছি; তারপর তাদেরকে অর্থ
সংকট ও দুঃখ-রেশ দারা ..
আমার শাস্তি যখন তাদের উপর আ’ কেন বিনত হল না?
অধিকনু তাদের… … শোভন করেছিল ।
তাদেরকে যে উপদেশ দেয়া হয়েছিল তারা যখন তা বিস্ৃত হল তখন তাদের জন্য
সমস্ত কিছুর দ্বার, নিরাশ হয়ে পড়ল।
অতঃপর যালিম সম্প্রদায়ের মূলোচ্ছেদ করা হল। আর প্রশংসা আল্মাহরই, বিনি
আপনি বলুন, তোমরা কি ভেবে দেখ, আল্াহ যদি তোমাদের শ্রবণ শক্তি ও
দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নেন এবং… … তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়।
বল, তোমরা কি ভেবে দেখেছ,…
রাসূলগণকে তো শুধু সুসংবাদবাহী ও সককারী’্রপেই প্রেরণ করি কেউ ঈমান
আনলে ও নিজেকে সংশোধন… চিন্তারও কারণ নেই।
যারা আমার নিদর্শনকে মিথ্যা বলেছে.
বলুন, আমি তোমাদের এটা বলিনা যে, ‘আমার নিকট আগ্রহ ধনতাভডার রয়েছে।
অদৃশ্য… … কি অনুধাবন কর লা?
তুমি এটা ছারা তাদেরকে স্তর্ক করে দাও যারা ভয় করে যে, তাদেরকে তাদের
‘তারা সংশোধন হবে

বল, তোমরা আল্লাহ্‌ ব্যতীত যাদেরকে আহ্বান কর তাদের ইবাদত করতে
আমাকে নিষেধ করা হয়েছে. অ্ত্ু্ থাকব না।
বল, অবশ্যই আমি আমার প্রতিপালকের স্পষ্ট প্রমাণের উপর প্রতিষ্ঠিত; অথচ
তোমরা ইহাকে … ভিনিই শ্রেষ্ঠ ।
£হে রাসূল!) আপনি বলুন, তোমরা যা সত্বর চাচ্ছ, তা যদি আমার নিকট থাকত,
তাহলে আমার ও তোমাদের… সবিশেষ অবহিত।
অদৃশ্যের কুঞ্জি তারই নিকট রয়েছে, তিনি ব্যতীত অন্য কেউ তা জানেন না। জলে
ও স্থলে …. … কিতাবে নেই।

অতঃপর য্খন সে সূর্যকে দীন্তিমানরূপে উদিত হতে দেখল তখন সে বলল, এটা
আমার প্রতিপালক.
নিশ্চয়ই আমি একনিষ্ঠভাবে..
তার জাতি তার সাথে বিতর্কে লিপ্ত হল

এবং যাকারিয়া ও ইয়াহয়া, “ঈসা এবং
করেছিলাম । তারা সকলেই সঙ্জনদের অন্তর্ভুক্তি ।..

তাফসীরে তাবারী শরীফ

সমস্ত প্রসংশা আল্লাহ্ তাআলার জন্য ৷ দরূদ সালাম তাঁর প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) এবং তারঁ পরিবারবর্গ প্রতি ৷

এ প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ইসলামী ফা: সমাদৃত প্রামাণিক তাফসীরগুলোর পর্যায়ক্রমে বঙ্গানুবাদ প্রকাশের এক প্রকল্প গ্রহণ করেছে ৷ ৩০ খন্ডে সমাপ্ত তাফসীরে ইবনে জারীর আমাদের তাফসীর প্রকল্পের অন্যতম উদ্যোগ ৷ ইবনে জারীর তাফসীরখানা ইসলামের প্রাথমিকযুগের এক প্রামাণ্য তাফসীর ৷ এর প্রণেতা আল্লামা আবূ জাফর মুহাম্মদ ইবন জারীর তাবারী ৷

কুরআন মজীদের সঠিক ব্যাখ্যায় সর্বাপেক্ষা অধিক সংখ্যক হাদীস ব্যবহার করায় প্রায় সাড়ে ১১০০ বছরের সুপ্রাচীন এ ইবনে জারীর মুসলিম জাহানে সমাদৃত তত্ত্ব ও তথ্যের বিশুদ্ধতার কারণে পাশ্চাত্য জগতের পণ্ডিত ও গবেষকগণ তাফসীরখানার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন ৷ ১৯৮৮ সালে বৃটেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস তাফসীরখানার প্রথম খন্ডের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করে ৷ এতে গ্রন্থখানির প্রতি তাঁদের অনুরাগ প্রকাশ পায় ৷ খ্যাতনামা মুফাসসিরগণ সমন্বয়ে একটি সম্পাদনা পরিষদ-এর তত্ত্বাবধানে বিশিষ্ট আলিমবৃন্দ তাফসীর খানার বাংলা করেছেন ৷

ইবনে জারীর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য:

এটি হাদীস ভিত্তিক তাফসীর ইবনে জারীর। হাদীসের সনদ ভিত্তিক তাফসীর এর জন্য তাঁকে সনদভিত্তিক তাফসীর পথিকৃত বলা হয়।

প্রতিটি আয়াতের আলাদা আলাদা তাফসীর।

কুরআন দিয়ে কুরআনের তাফসীর করা হয়েছে।

আল্লামা ইবনে জারীর তাবারী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) প্রথমে আয়াতটির সারাংশ তাফসীর করেছেন। পরবর্তিতে এ সম্পর্কিত হাদীসগুলো দিয়ে তা উল্লেখ করেছেন।

প্রতিটি আয়াতের ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ (সাঃআঃ), সাহাবী ও তাবিঈগণের বর্ণিত হাদীস সনদ সহকারে বর্ণনা করেছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি মারফূ হাদীসকেই প্রমাণ্য ও নির্ভরযোগ্য মনে করছেন।

কোন আয়াতের কয়েকটি মত থাকলে তাও উল্লেখ করা হয়েছে।

আহকাম সম্পর্কিত আয়াতের ক্ষেত্রে তিনি ফিকহী মাসআলা সম্পর্কেও আলোকপাত করেছেন।

বিভিন্ন দূরহ শব্দের অর্থ বিভিন্ন বিদ্বানগণের নিকট কি অর্থ প্রকাশ পেয়েছে তাও উল্লেখ করা হয়েছে।

এই তাফসীরে ইজাযুল কুরআন সন্নিবেশিত করা হয়েছে। অর্থ্যাৎ যেসব আয়াতে কুরআনের অলৌকিকত্ব চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে, আল্লামা তাবারী সেসব চ্যালেঞ্জের মুকাবিলায় যৌক্তিক প্রমাণ ও বর্ণনা পদ্ধতি উপস্থাপন করেছেন।

এই তাফসীরের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, কাদরিয়া, মুতাযিলা, ও জাহমিয়া তথা বাতিল ফিরকার মতামত উল্লেখ করত: তা খন্ডনের মাধ্যমে  দাতভাঙ্গা জবাব দিয়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের অভিমতকে প্রতিষ্ঠা করেছেন।

অপ্রয়োজনীয় বর্ণনা, মুফাসসিরদের নিজস্ব চিন্তা-চেতানা তথা ব্যক্তিগত মত পরিহার করেছেন।

কুরআনের বিভিন্ন শব্দের পঠন-পদ্ধতির বিশ্লেষণও তাফসীরে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি ‘কিতাবুল কিরাত’ নামে ১৮ খন্ডে সমাপ্ত একটি গ্রন্থ রচনা করেছেন।

অনেক ক্ষেত্রে আয়াতের ব্যাখ্যায় কবিতাও উল্লেখ করেছেন।

এ তাফসীর সম্পর্কে ইমাম নববী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, ‘আত তাবারীর তাফসীর গ্রন্থটি এক অনন্য বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জল। এই তাফসীরটি অনন্য কীর্তি। এর সমতুল তাফসীর আজ পর্যন্ত কেউ রচনা করতে পারেনি।’

ইমাম ইবন তাইমিয়াহ বলেন, ‘আত তাবারীর তাফসীর গ্রন্থখানি মর্যাদার অধিকারী, সত্যিই এটি অতুলীয় তাফসীর গ্রন্থ।”

ইমাম তাবারী এর জিবনি

নিচের ইমাম তাবারীর জিবনী উল্লেখ করা হয়েছে, ইসলামিক ফাউন্ডেসন বাংলাদেশ এর অনুদিত তাবারী শরীফ থেকে –

আব্‌ জাফর মুহাম্মাদ ইব্‌ন জারীর তাবারী রহমাতুল্লাহি আলায়হি ২২/২২৫ হিজরী সুভাবিক ৮৩৮/৮৩৯ সুষ্টা্ে অষ্টম আব্বাসী ঝলীফা মুতাসিম বিন্লাহর শাসনামলে ইরানের রর কাশ্পিয়াস সাগরের ভীরবতী পাহাড়ুঘেরা ভাবারিস্তানের আমূল শহরে এক অভিজাত পরিবারে . জন্মগ্রহণ করেন। শিতার নাম জারীর, দাদার নাম ইয়াধীদ, পরদাদার নাম কাছীর এবং তিনি . গালিবের পুত্র। ভাবারিস্তানের অধিবাসী হিসেবে পরিচয়সূচক “তাবারী” শব্দটি তাঁর নামের শেষে সংযোজন করা হয়েছে ইমাম তাবারী নামেই তিনি সমধিক পরিচিত!

বাল্যকাল থেকেই তাঁর জ্ঞান-পিপাসা ছিল অত্যন্ত প্রবল। সাত বছর বয়সে তিনি কুরআনুল করীম মুখস্ত করেন। ফারসী ভাষা ও সাহিত্য এবং ইরানের ইতিহাস তিনি ছেলেবেলায় সবগৃহে অবস্থানকালেই অধ্যয়ন করেন। উচ্চ শিক্ষার জন্য তিনি গরীব ছিলেন। কাজেই নিজ শহরে প্াথমিক শিক্ষা গ্রহণের পর মাত্র ১২ বছর বয়স থেকেই তিনি ইসলামী শিক্ষা কে্দ্রসমূহে যাতায়াত করতে থাকেন প্রথমত রায় এবং তার নিকটস্থ শহরসমূহে সফর করেন। তারপর হযরত ইমাম আহমাদ ইন্ন হাল রহমাতুল্লাহি আলাইহির নিকট হাদীস শরীফ অধ্যয়নের জন্য বাগদাদ গমন করেন। তিনি বাগনাদে পৌছার মাত্র কয়েক দিন পূর্বেই হযরত ইমাম আহমাদ ইব্‌ন হাধল রহমাতুল্লাহি আলাইহি ইত্তিকাল করেন।

অবশেষে তিনি বসরা ও কুফাতে কিছুকাল অবস্থানের পর আবার বাগদাদ ফিরে আসেন। বাগদাদে কিছুকাল অবস্থানের পর তিনি মিসরে-চলে যান! মিসরের পথে সিরিয়ার বিভিন্ন শহরেও তিনি কিছুদিন অবস্থান করে হাদীসশানতে ব্ুৎপ্তিলাভ করেন। মিসরে অবস্থানকালেই তাঁর পাণডিত্যেরব্যাতি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। পুনরায় বাগদাদে ফিরে জীবনের শেষ দিনগুলোতে সেখানেই অবস্থান করেন। বাগদাদ থেকে জন্মভূমি তাবারিভানে তিনি দুইবার মাত্র ্বলনকালীন সফরে গিয়েছিলেন।

ইমাম আবু জাফর তাবারী রহমাতুরাহি, আলাইহি শান্ত প্রকৃতির লোক ছিলেন। বাগদাদে তিনি আরবী ভাষা ও সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন, তর্কবিদ্যা ও ভূতত্বে গভীর ভ্ঞান অর্জন করেন। তিনি মকা মুয়াযযামাতে কয়েক বছর অবস্থান করে কুরআন মজীদের বিশদ তাফসীর ও হাদীস অধ্যয়ন করেন। পরে মিসর সফর করেন। সফরের মূল উদ্দেশ্যই ছিল বিভিন্ স্থানের খ্যাতিমান প্ডিতগণের সাহচর্যে অবস্থান করে বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শিতা অর্জন করা! কুরআন মজীদের তাফসীর, হাদীস শরীফের ব্যাখ্যা এবং ইতিহাসের তথ্যাদি বিষয়ে গভীর গিয়ানের তাঁর সুকঠিন সাধনার কথা জগতে সমধিক প্রসিহধ। তাঁর অদম্য জ্ঞান স্পৃহার জন্য তাঁকে জীবনে বহু দুঃখ-কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়েছে। বহুদিন তাঁকে অর্ধাহারে-অনাহারে কাটাতে হয়েছে এক সময় পর পর কয়দিন অনাহারে অতিবাহিত করার পর নিজের জামার হাতা বিক্রি করেও জঠরম্ালা নিবৃত্ত করতে হয়েছে।

প্রথমত তিনি আরব ও মুসলিম বিশ্বের মূল্যবান এতিহাসিক তথ্যাদি সঞ্চাহে আত্ুনিয়োগ
করেন। পরবর্তী সময় অধ্যাপনা ও গবেষণামূলক গ্রন্থ রচনায় জীবন অতিবাহিত করেন। আথিক দিক থেকে সচ্ছল না হওয়া সত্বেও তিনি কারও নিকট থেকে কোন প্রকার আর্থিক
এমনকি সরকারী উচ্চ পদমর্যাদা লাভের সুযোগ পেয়েও তা গ্রহণে সত হননি তাঁর সৃ
এবং বছমুখী প্রতিভার বিকাশ হয়েছিল তাঁর অমর গ্রহ্থসমূহে।তাফসীর, ফিক্হ, ইতিহাস, কবিতা ও চিকিৎসা বিজ্ঞান ইত্যাদি মৌলিক গ্রন্থ রচনা করেন।

মিসর থেকে ফেরার পর প্রায় দশ বছর কাল তিনি শাফিঈ মাযহাবের অনুসরণ করেছেন?
এক পর্যায়ে তাঁর চিন্তাধারা থেকে “জারীরিয়া মাযহাব” নামে একটি মাযহাব বিকশিত হয়। তাঁর পিতার নামে এই নামকরণ হয়েছিল। সামান্য কয়েকটি মাসআলা ব্যতীত শাফি মাযহাবের সাথে এ মাযহাবের তেমন কোন মতানৈক্য পরিলক্ষিত হয়নি। অবশ্য
জারীরিয়া মাযহাবের বিনুত্তি ঘটে। পরবর্তী কালে ইমাম ত মাযহাবের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন বলে জানা যায়।
ইতিহাসে আবূ জাফর ইবৃন জারীর তাবারী রহমাছুল্লাহি আলাইহি অন্যতম শ্রেষ্ঠ
মুফাস্সিরুল কুরআন এবং ইতিহাসবেন্তা। পবিত্র কুরআন ও হাদীসের আলোকে যাঁরা মানবে-তিহাস রচনা করে গেহেন, তাঁদের অগ্রপথিক ছিলেন ইমাম তাবারী (র)। যুগের প্রভাব সম্যক-ভাবে হৃদয়ঙ্গম করার বাস্তব জ্ঞান এবং যুগ-প্রভাবে জীবনধারার ক্রমগতিকে বিবর্তনের ধারায় অনুভব করার গভীর অন্তরদৃষ্টি নিয়েই তিনি তাঁর অমর কীর্তি ত্রিশ খণ্ডে প্রকাশিত কুরআন মজীদের তাফসীর এবং পনের খণ্ডে প্রকাশিত মানবজাতির ইতিহাস রচনা করেন। তিনি মানবে-তিহাসকে কুরজান মজীদে বর্ণিত সৃষ্টির ধারাবাহিকতার সাথে মিলিয়ে উপস্থাপন করেছেন।
পূর্বেই বলা হয়েছে, তিনি তাঁর তাফসীর খরস্থের নাম রেখেছেন “আল-জামিউল বায়ান ফী
তাফসীরিল কুরআন” এবং ইতিহাস গ্রন্থের নাম রেখেছেন “আখবারুর রুদুল ওয়াল মুলক” তিনি তাঁর মাযহাবের সমর্থনে কিছু কিতাবাদি রচনা করেছিলেন বলে জানা যায়। মোটামুটিভাবে তাফসীর আর ইতিহাস প্রণয়নেই তাঁর সারা জীবন অতিবাহিত হয়েছে। তাফসীর প্রণয়নে তিনি অগাধ পাণডিত্য, সৃষ্্বিশ্লেষণশক্তি ও সুদূরপ্রসারী অন্তরপৃষ্টির পরিচয় দিয়েছেন?

পত্িতগণের মাকে ইমাম তাবারী রহমাতুল্লাহি আলাইহির অধ্যবসায় সুবিদিত। তার মনন-
শীলতা, একাগ্রতা, বাকসমৃদ্ধি, বাচনভঙ্গি ও বর্ণনাশৈলী অন্যনসাধারণ, বিস্ময়কর ও প্রশংসার দাবিদার। এ সবের বিচারে তিনি সবার শীরষে। তাঁর ভাফসীর ও ইতিহাস পাঠে মনোযোগ দিলে সহজেই বুঝা যায় যে, তিনি আজীবন কিরূপ কঠোর পরিশ্রম করেছেন এবং সত্যিকার জ্ঞানের অনুশীলনে তাঁর জীবনকে কিভাবে বিলিয়ে দিয়েছেন তিনি একাধারে দীর্ঘ চল্লিশ বছর পর্যন্ত দৈনিক চগরিশ পাতা করে যৌণিক রচনায় নিজেকে ব্যাপৃত রেবেছিলেন। মুলত তিনি ইতিহাস রচনা করেছিলেন একশত পঞ্চাশ খে; ছাত্রগণ তা অধ্যয়নে জঙ্ষনতা প্রকাশ করায় তিনি দুঃখিত হন এবং অতিশয় ভারাক্রান্ত হৃদয়ে ছাত্রদের অধ্য়নের সুবিধাথে মাত্র পনের খণ্ডে তার সংক্ষিত্ত সংঙ্করণ রচনা করেন। তার দ্বারাই বুঝা বায়, হযরত ইমাম আব্‌ ভাফর -তাবারী রহমাতুল্লাহি আলাইহির বর্ণনা কতো বিভভৃত ও বিশদ ছিলো এবং তাঁর জানের বিলভা কতো প্রসারিত ছিলো। আরবী ভাষায় তাঁর,আগে কেউ এতো বড় বিশাল ইতিহাস রচনা করে৷ তিনি সৃষ্টির আদিকাল থেকে হিজরী সনকে কেন্দ্র করে কালানুক্রমিক ঘটনাবলীর বর্ণনা দিয়েছেন তাতে তিনি ৩০২ হিজরী/৯১৫ সৃষ্াব্ পর্যন্ত বিশ্ব ইতিহাস বর্ণনা করেছেন। সত্য তত্ত উদ্ধার ও সঠিক তথ্য বিশ্লেষণে তাঁর দক্ষ হাতের তুলনা মেলে না পরবর্তী কানে তার অনুসরণে বিখ্যাত এ্তিহাসিক, চিকিৎসাবিদ ও দার্শনিক মিসকাওয়াহ (র) (ওফাত ১০৩০ খৃ.), ইহযুদদীন ইবনুল

আহীর (র) (জীবনকাল ১১৬০ বৃ.-১২৩৪ খু) ও যাহাবী (র) (জীবনকাল ১২৭৪১
প্রমুখ জগ্িখ্যাত এ্রতিহাসিকগণ প্রামাণ্য ইতিহাস গ্রস্থ রচনা করে গেছেন। সা
আছীর (র) তাঁর বিখ্যাত ইতিহান গ্রন্থ “আল-কামিল ফিহ-তারীখ” (চূড়ান্ত ইতিবৃন্) ইমাম
আবূ জাফর তাবারী রহমাতুল্লাহি আলাইহির সুবৃহৎ ইতিহাসকে সংক্ষেপ করে ১২৩১ সৃষটান্দ পর্যন্ত পর্যালোচনা করেছেন। তাফসীর, ইতিহাস উভয় গ্রন্থ রচনায় ইমাম আৰ্‌ জাফর ভাবারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি হাদীসের ইসনাদের (বর্ণনা সূত্রেরঃ খেয়াল রেবেছেন।

ইবনুল মুকাফফা |) প্রমুখের গ্রন্থসমূহ থেকে তিনি বু তথ্য সংগ্রহ করেছেন। বিভিন্ন সময়ে
নানা দেশ সফর করে তিনি অনেক গাথা ও কাহিনী থেকে ইতিহাসের মাল-মসলা, তথ্য ও
উপাদান যোগাড় করেছেন। কুরআন মজীদের সুবিশাল ভাফসীর প্রণয়নের জন্যই তিনি সারা বিশ্ব জগতের শ্রদ্ধা কুড়াতে সমর্থ হয়েছেন! ১৩৩১ হিজরী সনে মিসরের রাজধানী কায়রো থেকে তাঁর সুবিশাল তাফলীর ৩০ বণ্ড প্রকাশিত হয়েছে। “তারীখুর রিজাল” নামে তিনি মহত ব্যক্তি- গণের জীবনেতিহাস এবং “তাহবীবুল আছার+ নামে হাদীসের একটি ্র্থ সংকলন করেছিলেন।

কুরআন মজীদের সঠিক ব্যাখ্যায় সর্বাপেক্ষা অধিক সংখ্যক হাদীস ব্যবহার করায় মুসলিম
জাহানে তার তাফসীর বিশেষভাবে সমাদৃত হয়েছে। পরবর্তী তাফসীরকারগণ তাঁর ভাফসীর থেকেই বহু তথ্য সংগ্রহ করেছেন। তাঁর মতানুসারেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ দিয়েছেন। তাঁর সুবিশাল তাফসীরখানাই তাঁকে জগতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সুধী ও চিন্তানায়কের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যথেষ্ট পাশ্চাত্যের পণ্ডিতগণ আজো তাঁর গরন্থাদি এ্রতিহাসিক তথ্য সংগ্রহ এবং তাত্বিক সমালোচনামূলক গবেষণার জন্য ব্যবহার করে থাকেন।

১৯৮৮ সৃষ্টাব্দে থেট বৃটেনে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস তাফসীরে তাবারীর প্রথম ধণ্ডের
ইংরেজী অনুবাদ প্রকাশ করেন। প্রকাশনা উৎসবে রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ প্রধান অতিথি
হিসেবে উপস্থিত থেকে উদ্বোধনী বঙ্তৃতা দান করেন। পৃথিবীর অন্যান্য ভাষাতাষীগণের ন্যায়
বাংলা ভাষাভাষীগণও এই জগদ্িখ্যাত তাফসীরের বাংলা তরজমার আশায় অধীর আথহে
অপেক্ষা করছিলেন। আল্লাহ্‌ তাআলার অশেষ রহমতে ইসলামিক ফাউণ্ডেশন বাংলাদেশ জাতির সেই চাহিদা মিটানোর লক্ষ্যেই দেশের স্বনামখ্যাত বিজ্ঞ উলামায় কিরামের দ্বারা তার তরজমা ও সম্পাদনা করে প্রকাশ করার ব্যবস্থা নিয়ে জাতিকে কৃতজ্ঞতার ভোরে আবদ্ধ করতে সমথ হয়েছে।

প্রায় ১১শ” বছর আগে ৩১০ হিজরী মুতাবিক ১১৩ বৃষ্টান্দে অষ্টাদশ আব্বাসী খলীফা আল-
মুকতাদির বিল্লাহ্র আমলে যুসলিম জাহানের এ অন্যনসাধারণ প্রতিভাশালী ইমাম বাগদাদে
ইন্তিকাল করেন।

এ্রতিহাসিক খতীব বাগদানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি লিখেহেন, “ইমাম তাবারী রহমাতুল্লাহি
আলাইহি মানবজাতির- ইতিহাস জ্ঞাত এক বিজ্ঞ এতিহাসিক ছিলেন।” আবুল লাইছ ইব্‌ন
জুরায়জ রহমাতুল্লাহি আলাইহি লিখেছেন, “ইমাম তাবারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ফিক্হ
শাস্ত্রের মহাবিজ্ঞ পণ্তিত ছিলেন। তাছাড়া তিনি বু বিদ্যায় পারদশী ছিলেন, যেমন ইল্মে
কিরাআত, তাফসীর, হাদীস, ফিক্হ ও ইতিহাস।”

ইব্‌ন খাল্লিকান (র), শায়খ আবূ ইসহাক শীরাজী (র), আস-সুবকী (র), হাফিয আহমাদ
ইবৃন আলী সুলায়মানী (র), ইমাম জালালুদ্দীন সুযুতী (র), ইমাম নববী (র), ইব্‌ন তাইমিয়াহ
(র), আবূ হামিদ আল-ফারাইদী (র), মুকাতিল (র), কাল্বী (র), ইবনে খুযায়মা (র) প্রমুখ
মুসলিম পত্ডিত, দার্শনিক ও বিজ্রজনের মতে ইমাম আবূ জাফর তাবারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ইল্মে তাফলীর ও ইসলামের ইতিহাসের জনক। তিনি ছিলেন এক অনন্য ও অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব ইমাম তাবারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর তাফসীরে বহু সংখ্যক হাদীস উধৃত করেছেন।
তিনি প্রত্যেক শব্দ ও আয়াতের উপর ব্যাপক আলোচনা করেছেন। হযরত রাসুলে করীম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত মারফু হাদীছই তাঁর নিকট সম্পূর্ণ প্রামাণ্য ও
নির্ভরযোগ্য বিবেচিত হয়েছে। সাহাবায়ে কিরামের অভিমতকে তিনি সর্বাধিক প্রাধান্য দিয়েছেন।
কুরআন মজীদে ব্যবহৃত শব্দগুলোকে তিনি সে যুগের আরবী সাহিত্যের নিরিখে বিশ্লেষণ করেছেন। কোন্‌ শব্দ কোন্‌ সময় কি অর্থ ব্যবহৃত হয়েছে, তাও তিনি আরবী সাহিত্যের শেঠ কবিদের কবিতার উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করেছেন

ইমাম তাবারী রহমাত্রাহি আলাইহি তাঁর তাফসীরে দুইটি বিষয়ে প্রাধান্য দিয়েছেন £ (১)
প্রামাণ্য হাদীসের উদ্ধৃতি ও (২) পাঠরীতি সম্পর্কে কুফা ও বসরার আরবী ব্যাকরণবিদগণের মভামত।
তিনি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাহাবায় কিরামের মতামত বর্ণনা করেছেন, বিশেষত হযরত
ইব্‌ন আবাস রাদিআাললাহ তাআলা আনহর বর্ণনার প্রতি অধিক গুরুত্ব দান করেছেন। ভাবিঈগণের অভামতও উদ্ভৃত করেছেন। বসরার ব্যাকরণবিদগণের মধ্যে হযরত আব্‌ উবায়দা (ওফাত ২০১ হি./ ৮২৪ হু) রহমাতুল্লাহি আলাইহি শ্রেষ্ঠ । তার প্রণীত তাফসীর ‘মাজাজুল কুরআন” অতি প্রাচীন ও বিশুদ্ধ। কুফার ব্যাকরণবিদগণের মধ্যে হযরত “আল্‌-ফাররাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি প্রসিদ্ধ তাফসীর “মাআনিউল-কুরআন” প্রণয়ন করেন।

ভূতীয় যে বিষয়ে ইমাম ভাবারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর তাফসীরে সন্িবেশিত
করেছেন, তা হলো কুরআন মজীদের বিভিন্ন পাঠ-পদ্ধতি! এ বিষয়ে তিনি ‘কিতাবুল্‌ কিরাআত? নামে আলাদাভাবে কিতাব প্রণয়ন করেছেন; তিনি “তাফদীর” ও “কিরাআত-কে দুইটি আলাদা বিষয়রূপে গণ্য করেছেন।

তিনি সংগৃহীত সকল হাদীসই অবিকল বর্ণনা করেছেন। ভাতে পরবর্তী কালে এসব
হাদীছের বরাত দিতে কোন তাফসীরকার ও ব্যাখ্যাকারের কষ্ট করতে হয়নি। তাঁরা ইমাম
তাবারী রহমাতুল্লাহি আলাইহির বর্ণনাকে প্রামাণ্য দলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন। এ ব্যাপারে বিশিষ্ট আইন বিশেষন্ ইমাম আ্‌ হামিদ আল-ফারাইদী তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সেষুগে বাগদাদ ছিলো শিক্ষার প্রাণকেন্্। বাগদাদের মসজিদে ও ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- সসৃহে সুচারুরূপে শিক্ষা দেয়া হতো। সারা বিশ্বের জ্ঞান_পশিপাসু মানুষ এখানে বিশ্বজোড়া খ্যাতিমান শিক্ষকগণের নিকট পড়াশোনা করতে আসেন। তাঁরা সংখ্যায়ও ছিলেন অনেক।

সাহাবায়ে কিরাম ও তাবিঈন ইমামের যুগ থেকেই তাফসীর চর্চা শুরু হয়। ইমাম তাবারী
খুলাফায়ে রাশিনীনের ও হযরত আইশা সিন্দীকা রাদিসাল্লাহ্‌ তাআলা আনহা থেকে উধৃতি
দিয়েছেন। সাহাবী হযরত আবলুল্লাহ ইব্‌ন আব্বাস রানিআল্লাহ্‌ তাআলা আনহু এ ব্যাপারে বিশেষ স্থান দখল করে আছেন। হযরত ইব্‌ন আব্বাস (রা) হিজরতের তিন বছর পূর্বে জন্গ্রহণ করেন।
উসুল মুমিনীন হযরত মায়মূনা রাদিআল্লাহ তাআলা আনহা তাঁর ফুফু ছিলেন। সেই সুবাদে তিনি হ্যরত রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ঘনিষ্ঠ সানিখ্য লাভের যথে্ট সুযোগ পান। হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে, প্রিয়নবী সার্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসা্লাম তাঁর ইল‌মের তরক্কীর জন্য এবং কুরজন মভীদের সঠিক ব্যাখ্যা করার ক্ষমতা দানের জন্য দু’আ করেছিলেন। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওফাতের সময় তিনি ১৩/১৫ বছরের কিশোর ছিলেন। যেসব কথাবার্তা ও কার্যকলাপ তার জানা ছিল না, তা তিনি প্রবীণ সাহাবায় কিরামের নিকট থেকে নেবার জন্য তাঁদের ধিদমতে হাজির হতেন। তাঁকে “হিবরুল উদ্মাত* (উন্মাতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী) উপাদিতে ভূষিত করা হয়। প্রগাঢ় পাণিত্যের জন্য তাঁকে “বাহ্রুল-উলুম* (বিদ্যাসাগর বা জ্ঞানের সমুদ্র)-ও বলা হয়। তিনি কুরআন মজীদ ও তার তাফসীর সাহিত্য বিষয়ে অগাধ জ্ঞান সর করেন। জাহিলী যুগের ইতিহাস বিষয়ে তিনি প্রসিদ্ধি লাভ করেন। মহান আল্লাহ্‌র পেয়ারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের “সীরাত” (জীবনচরিত) ও ইল্যে ফিক্হ-এ তিনি ব্যুৎপত্তি লাভ করেন। এমনকি জাহিলী বুগের কাব্য সাহিত্যেও তিনি পাণ্ডিত্যের অধিকারী ছিলেন। এ সকল বিবয়ে তিনি নিয়মিত শিক্ষকতা করতেন। অনেকেই কুরআন মজীদ ও ফিকৃহ বিষয়ক জটিল ব্যাপারে তাঁর মতামত গ্রহণ করতেন। সবাই তাঁর অসাধারণ বৃদ্ধিমন্তা’র ভূয়সী প্রশংনা করতেন। কোন কোন ক্ষেত্রে তিনি নিজেই ইজতিহাদ করে ব্যাখ্যা-বিশ্রে্ণ করতেন। হযরত ইকৃন আন্বাস রাদিআল্লাহু তাআলা আনহুর সুচিন্তিত অভিমতসমূহ ইসনাদসহ (সুত্র পরস্পরা তাঁর ছাত্র ও সঙ্গীগণ কর্তৃক বহু (কিতাবাকারে নিপিবদ্ধ করা হয়েছে। তিনি তাঁর ত সমথনে প্রায়ই সেকালের কবিদের কবিতার উদ্ধৃতি , যা ইসলামী বিশেষজ্ঞগণ রেছে। এ সব কবিতার উস্ৃতি ইমাম তাবারী রহমাতুপ্লাহি আলাইহির তাফসীরের এক নৈশিষ্ট্য।

হযরত আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌ন মাসউদ রানিজাল্লাহ ভাঙল! আনহু বর্নিত হানীছসমূহ থেকেও তিনি তাঁর তাফসীরে উদ্ধৃতি দিয়েছেন। হযরত আলকামা ইব্‌ন কায়স হযরত কাতাদা হযরত হাসান বসরী হযরত ইবরাহীম নাখঈ রহমাতুল্লাহি তাআলা জালায়হিম আজমাঈন হযরত আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌ন মাসউদ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহুর কৃফাতে অবস্থানকালে তাঁর কাছে তালীম গ্রহণ করেন।

হযরত ইব্ন আব্বাস রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু মক্কা সুকাররমায়, হযরত ইব্‌ন মাসউদ
রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু কুফাতে এবং হযরত উবায় ইব্‌ন কাব রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু মদীনা মুনাওয়ারায় তাফসীর শিক্ষা করেন।

হযরত আবুদুল্লাহ ইব্‌ন উমার (ওফাত ৭৩ হিজরী), হযরত যায়দ ইব্‌ন ছাবিত (ওফাত ৪৫.
হিজরী), হযরত আনাস ইব্‌ন মালিক (ওফাত ৯১ হিজরী), হযরত আবূ মূসা আশআরী (ওফাত ৪২ হিজরী), হযরত আবৃ হুরায়রা (ওফাত ৪৮ হিজরী) রাদিআল্লাহু তাআলা আনহুম ‘থেকেও ইমাম তাকারী রহমাতুল্লাহি আলায়হি তাঁর তথ্যাদি সংগ্রহ করেছেন। কুরমান মজীদের কোন্‌ আয়াত কোন্‌ ঘটনা বা উপলক্ষে নাধিল হয়েছে, তা তিনি সাহাবায় কিরামের বর্ণনানুসারে লিপিবদ্ধ করেছেন। এতিহাসিক ইব্‌ন ইসহাকের সংকলন থেকেও তিনি উদ্ভৃতি দিয়েছেন।

আমরা অনুবাদ ও সম্পাদনার বেলায় হাদীছসমূহের উদ্ধৃতির ক্ষেত্রে সনদের শেষ রাবী
(রণনাকারী)-এর নাম বর্ণনা করেছি। অধিক আগ্রহী পাঠক প্রয়োজনে তাফসীরে তাবারীর মুল কিতাব দেখে নেবেন। আমরা কিতাবের কলেবর বৃদ্ধি ভয়ে এ নীতি অনুসরণ করতে বাধ্য হয়েছি।

ডাউনলোড

তাফসীরে তাবারী শরীফ ডাউনলোড , তাফসীরে তাবারী , তাফসীরে তাবারী বাংলা , তাফসীরে তাবারী বাংলা pdf , তাফসীরে তাবারী শরীফ , তাফসীরে তাবারী pdf , তাফসীরে তাবারী pdf , তাফসীরে তাবারী pdf ডাউনলোড , tafsir tabari bangla

তাফসীরে তাবারী শরীফ ডাউনলোড/ ক্রয় করতে/Pdf পেতে হলে নিচে Comment কমেন্ট করলে আমরা আপনাকে পাঠিয়ে দিব। ইনশাল্লাহ।


By কুরআন তাফসীর

এখানে কুরআন শরীফ, তাফসীর, প্রায় ৫০,০০০ হাদীস, প্রাচীন ফিকাহ কিতাব ও এর সুচিপত্র প্রচার করা হয়েছে। প্রশ্ন/পরামর্শ/ ভুল সংশোধন/বই ক্রয় করতে চাইলে আপনার পছন্দের লেখার নিচে মন্তব্য (Comments) করুন। “আমার কথা পৌঁছিয়ে দাও, তা যদি এক আয়াতও হয়” -বুখারি ৩৪৬১। তাই এই পোস্ট টি উপরের Facebook বাটনে এ ক্লিক করে শেয়ার করুন অশেষ সাওয়াব হাসিল করুন

1 comment

Leave a Reply