জামাআতের সাথে নামাজ আদায় করা হিদায়াতের শামিল
জামাআতের সাথে নামাজ আদায় করা হিদায়াতের শামিল >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
৪৪. অধ্যায়ঃ জামাআতের সাথে নামাজ আদায় করা হিদায়াতের শামিল
১৩৭৩. আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আমাদের ধারণা হলো মুনাফিক্ব যার নিফাক্ব স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল এবং রুগ্ন ব্যক্তি ছাড়া কেউই নামাজের জামাআত পরিত্যাগ করেনা। রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] – এর সময় রুগ্ন ব্যক্তিও দুজন মানুষের কাঁধে ভর দিয়ে নামাজের জামাআতে উপস্থিত হত। তিনি আরো বলেছেনঃ রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] আমাদের হিদায়াতের কথা শিখিয়েছেন। আর হিদায়াতের কথা ও পদ্ধতির মধ্যে একটি হলো সে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করা যে মাসজিদে আযান দেয়া হয়েছে।
[ই.ফা.১৩৬০, ইসলামিক সেন্টার-১৩৭২]
১৩৭৪. আবদুল্লাহ ইবনি মাসঊদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, যে ব্যক্তি আগামীকাল ক্বিয়ামাতের দিন মুসলিম হিসেবে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ পেতে আনন্দবোধ করে, সে যেন ঐ নামাজের রক্ষণাবেক্ষণ করে, যেসব নামাজের জন্য আযান দেয়া হয়। কেননা, আল্লাহ তাআলা তোমাদের নবীর জন্য হিদায়াতের পন্থা পদ্ধতি বিধিবদ্ধ করিয়াছেন। আর এসব নামাজও হিদায়াতের পন্থা পদ্ধতি, যেমন জনৈক ব্যক্তি নামাজের জামাআতে উপস্থিত না হয়ে বাড়ীতে নামাজ আদায় করে থাকে, অনুরূপ তোমরাও যদি তোমাদের বাড়ীতে নামাজ আদায় করো তাহলে নিঃসন্দেহে তোমরা তোমাদের নবীর সুন্নাত বা পন্থা-পদ্ধতি পরিত্যাগ করলে। আর তোমরা যদি এভাবে তোমাদের নবীর সুন্নাত বা পদ্ধতি পরিত্যাগ করো তাহলে অবশ্যই পথ হারিয়ে ফেলবে। কেউ যদি অতি উত্তমভাবে পবিত্রতা অর্জন করে [নামাজ আদায় করার জন্য] কোন একটি মাসজিদে উপস্থিত হয় তাহলে মাসজিদে যেতে সে যতবার পদক্ষেপ ফেলবে তার প্রতিটি পদক্ষেপের পরিবর্তে আল্লাহ তাআলা তার জন্য একটি নেকী লিখে দেন, তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন এবং একটি করে পাপ দূর করে দেন। আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাদি.] বলেন, আমরা মনে করি যার মুনাফিক্বী সর্বজনবিদিত এমন মুনাফিক্ব ছাড়া কেউ-ই জামাআতে নামাজ আদায় করা ছেড়ে দেয় না। অথচ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] – এর যামানায় এমন ব্যক্তি জামাআতে উপস্থিত হত যাকে দুজন মানুষের কাঁধে ভর দিয়ে এসে নামাজের কাতারে দাঁড় করিয়ে দেয়া হত।
[ই.ফা.১৩৬১, ইসলামিক সেন্টার-১৩৭৩]