চোগলখোরী জঘন্যতম হারাম
চোগলখোরী জঘন্যতম হারাম >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
৪৫. অধ্যায়ঃ চোগলখোরী জঘন্যতম হারাম
১৯১
আবু ওয়ায়িল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
হুযাইফাহ্ [রাঃআ:]-এর নিকট খবর পৌঁছল যে, এক ব্যক্তি চোগলখোরী করে বেড়ায়। তিনি বলিলেন, আমি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআ:]-কে বলিতে শুনিয়াছি, কোন চোগলখোরই জান্নাতে প্রবেশ করিতে পারবে না। {৪৪} [ই.ফা. ১৯২; ই.সে. ১৯৮]
{৪৪} একজনের কথা অন্যজনের সামনে এ জন্য বলে যে, তাহাদের মধ্যে যেন শত্রুতার সৃষ্টি হয় ও ঝগড়া-বিবাদ লেগে যায় তাকে নাম্মাম বা চোগলখোর বলে। [নাবাবী]
হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৯২
হাম্মাম ইবনি আল হারিস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি সাধারণ লোকজনের কথাবার্তা শাসনকর্তার নিকট পৌঁছাত। একদা আমরা মাসজিদে বসা ছিলাম। উপবিষ্ট লোকেরা বলিল, এ সে ব্যক্তি যে লোকজনের কথাবর্তা শাসনকর্তার নিকট পৌঁছায়। রাবী বলিলেন, এরপর সে উপস্থিত হলো এবং আমাদের পাশে বসে পড়ল। তখন হুযাইফাহ [রাঃআ:] বলিলেন, আমি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআ:]-কে বলিতে শুনিয়াছি, কোন চোগলখোর জান্নাতে প্রবেশ করিতে পারবে না”। {৪৫} [ই.ফা. ১৯৩; ই.সে. ১৯৯]
{৪৫} ক্বাত্তাত ও নাম্মাল দুটোর অর্থ একই, অর্থাৎ চোগলখোর।
হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৯৩
হাম্মাম ইবনি হারিস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর সূত্রে হইতে বর্ণিতঃ
আমরা হুযাইফাহ্ [রাঃআ:]-এর সাথে মাসজিদে বসা ছিলাম। তাখন এক ব্যক্তি এলো ও আমাদের সাথে বসে পড়লো। তখন হুযাইফাহ্ [রাঃআ:] তাকে শোনানোর উদ্দেশ্যে বলিলেন, আমি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআ:]-কে বলিতে শুনিয়াছি : চোগলখোর জান্নতে প্রবেশ করিতে পারবে না। [ই.ফা. ১৯৪; ই.সে. ২০০]
হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস