ঘরে প্রবেশ ও বের হওয়ার দোয়া এবং জিকির সমূহ
ঘরে প্রবেশ ও বের হওয়ার দোয়া এবং জিকির সমূহ << হিসনুল মুসলিম এর মুল সুচিপত্র দেখুন
ঘরে প্রবেশ ও বের হওয়ার দোয়া
বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময়ের যিকির
ঘরে প্রবেশের সময় যিকির
১০. বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময়ের যিকির
بِسْمِ اللَّهِ، تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ، وَلَاَ حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ
(বিসমিল্লাহি, তাওয়াককালতু ‘আলাল্লা-হি, ওয়ালা হাওয়া ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ)।
১৬-(১) “আল্লাহর নামে (বের হচ্ছি)। আল্লাহর ওপর ভরসা করলাম। আর আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই”
আবূ দাউদ ৪/৩২৫, নং ৫০৯৫; তিরমিযী ৫/৪৯০, ৩৪২৬। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৫১।
اللّٰـهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أَضِلَّ، أَوْ أُضَلَّ، أَوْ أَزِلَّ، أَوْ أُزَلَّ، أَوْ أَظْلِمَ، أَوْ أُظْلَمَ، أَوْ أَجْهَلَ، أَوْ يُجْهَلَ عَلَيَّ
(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিকা আন আদ্বিল্লা, আও উদ্বাল্লা, আও আযিল্লা, আও উযাল্লা, আও আযলিমা, আও উযলামা, আও আজহালা, আও ইয়ুজহালা ‘আলাইয়্যা)।
১৭-(২) “হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাই যেন নিজেকে বা অন্যকে পথভ্রষ্ট না করি, অথবা অন্যের দ্বারা পথভ্রষ্ট না হই, আমার নিজের বা অন্যের পদস্খলন না করি অথবা আমায় যেন পদস্খলন করানো না হয়; আমি যেন নিজের বা অন্যের ওপর যুলুম না করি অথবা আমার প্রতি যুলুম না করা হয়; আমি যেন নিজে মুর্খতা না করি, অথবা আমার ওপর মূর্খতা করা না হয়।”
সুনান গ্রন্থকারগণ: আবূ দাউদ, নং ৫০৯৪; তিরমিযী, নং ৩৪২৭; নাসাঈ, নং ৫৫০১; ইবন মাজাহ, নং ৩৮৮৪। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী ৩/১৫২; সহীহ ইবন মাজাহ ২/৩৩৬।
১১. ঘরে প্রবেশের সময় যিকির
১৮- বলবে,
بِسْمِ اللَّهِ وَلَجْنَا، وَبِسْمِ اللَّهِ خَرَجْنَا، وَعَلَى اللَّهِ رَبِّنَا تَوَكَّلْنَا
(বিসমিল্লাহি ওয়ালাজনা, ওয়াবিস্মিল্লাহি খারাজনা, ওয়া ‘আলাল্লাহি রাব্বিনা তাওয়াক্কালনা)
“আল্লাহর নামে আমরা প্রবেশ করলাম, আল্লাহর নামেই আমরা বের হলাম এবং আমাদের রব আল্লাহর ওপরই আমরা ভরসা করলাম”।
অতঃপর ঘরের লোকজনকে সালাম দিবে।
আবূ দাউদ ৪/৩২৫, ৫০৯৬। আর আল্লামা ইবন বায রহ. তার তুহফাতুল আখইয়ার গ্রন্থে পৃ. ২৮ এটার সনদকে হাসান বলেছেন। তাছাড়া সহীহ হাদীসে এসেছে, “যখন তোমাদের কেউ ঘরে প্রবেশ করে, আর প্রবেশের সময় ও খাবারের সময় আল্লাহকে স্মরণ করে, তখন শয়তান (নিজ ব্যক্তিদের) বলে, তোমাদের কোনো বাসস্থান নেই, তোমাদের রাতের কোনো খাবার নেই।” মুসলিম, নং ২০১৮