খাবার বাসন এর এক ধার থেকে খাওয়ার নির্দেশ – রিয়াদুস সালেহীন
খাবার বাসন এর এক ধার থেকে খাওয়ার নির্দেশ – রিয়াদুস সালেহীন >> রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর একটি পরিচ্ছেদের হাদিস পড়ুন
পরিচ্ছেদ – ১০৭: খাবার বাসন এর এক ধার থেকে খাওয়ার নির্দেশ এবং তার মাঝখান থেকে খাওয়া নিষেধ
এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ এর বাণী পূর্বে পার হয়ে গেছে, ‘‘তুমি তোমার সামনে একধার থেকে খাও।’’ [বুখারী, মুসলিম]
1/748 وَعَنِ ابنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، عَنِ النَّبِيِّ ﷺ، قَالَ: « البَرَكَةُ تَنْزِلُ وَسَطَ الطعَامِ ؛ فَكُلُوا مِنْ حَافَتَيْهِ، وَلاَ تَأكُلُوا مِنْ وَسَطِهِ ». رواه أَبُو داود والترمذي، وقال: «حديث حسن صحيح »
১/৭৪৮। ইবনি আব্বাস রাঃআঃমা হতে বর্ণিত, নবী সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘যেহেতু খাবারের মাঝখানে বরকত নাযিল হয়, সেহেতু তোমরা ওর দুই ধার থেকে খাও, আর ওর মাঝখান থেকে খেয়ো না।’’ [আবূ দাঊদ, তিরমিযী হাসান সহীহ][1]
2/749 وَعَن عَبدِ اللهِ بنِ بُسْرٍ رضي الله عنه، قَالَ: كَانَ لِلنَّبِيِّ ﷺ قَصْعَةٌ يُقَالُ لَهَا: الغَرَّاءُ يَحْمِلُهَا أرْبَعَةُ رِجَالٍ ؛ فَلَمَّا أضْحَوْا وَسَجَدُوا الضُّحَى أُتِيَ بِتِلْكَ الْقَصْعَةِ ؛ يَعنِي وَقَدْ ثُرِدَ فِيهَا، فَالتَفُّوا عَلَيْهَا، فَلَمَّا كَثُرُوا جَثَا رَسُولُ اللهِ ﷺ . فَقَالَ أَعرَابيٌّ: مَا هَذِهِ الجِلْسَةُ ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ: « إنَّ اللهَ جَعَلَنِي عَبْداً كَرِيماً، وَلَمْ يَجْعَلْنِي جَبَّاراً عَنِيداً »، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ: « كُلُوا مِنْ حَوَالَيْهَا، وَدَعُوا ذِرْوَتَهَا يُبَارَكْ فِيهَا ». رواه أَبُو داود بإسنادٍ جيد
২/৭৪৯। আব্দুল্লাহ ইবনি বুসর রাঃআঃ হতে বর্ণিত, নবী সাঃআঃ এর একটি পাত্র ছিল যাকে ‘গার্রা’ বলা হত, সেটাকে চারজন মানুষ ধরে তুলতো। একদা চাশ্তের সময়ে যখন চাশ্তের নামায পড়ার পর ঐ [বিশাল] পাত্রটি আনা হল—অর্থাৎ তাতে ‘সারীদ’ [মাংস ও খন্ড খন্ড রুটি সংমিশ্রণে প্রস্তুত সুসবাদু খাদ্য] রাখার পর, তখন লোকেরা তাতে জমায়েত হল। লোকের পরিমাণ যখন বেশি হল, তখন রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ হাঁটুর ভরে বসে পড়লেন। [এরূপ দেখে] জনৈক বেদুঈন বলিল, ‘এ কেমন বসা?’ আল্লাহর রসূল সাঃআঃ বলিলেন, ‘‘নিশ্চিতরূপে আল্লাহ আমাকে ভদ্র [বিনয়ী] বান্দা করিয়াছেন এবং উদ্ধত ও হঠকারী করেননি।’’ তারপর রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলিলেন, ‘‘তোমরা পাত্রের এক ধার থেকে খেতে থাক। আর ওর শীর্ষভাগ ছেড়ে দাও, ওখানে বরকত অবতীর্ণ হবে।’’ [আবূ দাঊদ উত্তম সনদে][2]
[1] তিরমিযী ১৮০৫, আবূ দাউদ ৩৭৭২,ইবনু মাজাহ ৩২৭৭
[2] আবূ দাউদ ৩৭৭৩, ইবনু মাজাহ ৩২৬৩, ৩২৭৫