আদাম সন্তান এর উপর ব্যভিচার ও অন্যান্য বিষয়ের অংশ পরিমিত
আদাম সন্তান এর উপর ব্যভিচার ও অন্যান্য বিষয়ের অংশ পরিমিত >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
৫. অধ্যায়ঃ আদাম সন্তান এর উপর ব্যভিচার ও অন্যান্য বিষয়ের অংশ পরিমিত
৬৬৪৬. আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আবু হুরায়রা্ [রাদি.] যা বলেছেন লামাম [আকর্ষণীয় বড় গুনাহ] বিষয়ে তার চেয়ে অধিক সাদৃশ্যপূর্ণ কোন বিষয় আমি দেখিনি। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন: আল্লাহ তাআলা আদাম সন্তানের উপর ব্যভিচারের যে ভাগ লিখেছেন, নিঃসন্দেহে তা সে পাবে। দুচোখের ব্যভিচার দেখা, যবানের ব্যভিচার, পরস্পর কথোপকথনের ব্যভিচার, মনের ব্যভিচার কামন-বাসনা করা। আর লজ্জাস্থান তা সত্যায়িত করে অথবা মিথ্যা সাব্যস্ত করে।
আব্দ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তাউস-এর বর্ণনায় বলেছেন যে, তিনি ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে শুনেছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫১২, ইসলামিক সেন্টার- ৬৫৬৩]
৬৬৪৭. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.]-এর সানাদে নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেছেন, আদাম সন্তানের উপর ব্যভিচারের যে অংশ লিখিত রয়েছে তা অবশ্যই সে প্রাপ্ত হইবে। নিঃসন্দেহে দুচোখের ব্যভিচার হলো তাকানো, দুকানের ব্যভিচার হলো শোনা, জিহ্বার ব্যভিচার হলো কথোপকথন করা, হাতের ব্যভিচার হলো শক্ত করে ধরা, পায়ের ব্যভিচার হলো হেঁটে যাওয়া, হৃদয়ের ব্যভিচার হচ্ছে কামনা-বাসনা করা। আর লজ্জাস্থান তা সত্যায়িত করে বা মিথ্যা সাব্যস্ত করে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫১৩, ইসলামিক সেন্টার- ৬৫৬৪]