যে অভাবীর অভাব মানুষের নিকট প্রকাশের পূর্বে তাকে দান করা হয় তার প্রসঙ্গে
যে অভাবীর অভাব মানুষের নিকট প্রকাশের পূর্বে তাকে দান করা হয় তার প্রসঙ্গে >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
৩৪. অধ্যায়ঃ যে অভাবীর অভাব মানুষের নিকট প্রকাশের পূর্বে তাকে দান করা হয় তার প্রসঙ্গে
২২৮৩
আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ “যারা মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করে বেড়ায় এবং দু এক গ্রাস খাবার বা দু একটা খেজুর ভিক্ষা নিয়ে ফিরে যায় তারা [প্রকৃত] মিসকীন নয়। এ কথা শুনে সাহাবীগণ বলিলেন, হে আল্লাহ্র রসূল! তাহলে মিসকীন কে? [উত্তরে] তিনি [সাঃআঃ] বলিলেন, মানবীয় মৌলিক প্রয়োজন মিটানোর মত সামর্থ্য যার নেই আর সমাজের মানুষও তাকে অভাবী বলে জানে না যাতে তাকে দান করিতে পারে এবং সে নিজেও [মুখ খুলে] কারো কাছে কিছু চায় না।” [এ ব্যক্তি হলো প্রকৃত মিসকীন অর্থাৎ আর্থিক অনটনভুক্ত গরীব ভদ্রলোক]। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২২৬২, ইসলামিক সেন্টার- ২২৬২]
২২৮৪
আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, যে ব্যক্তি দু একটি খেজুর বা দু এক গ্রাস খাবার ভিক্ষা চেয়ে বেড়ায় এবং এ নিয়ে চলে যায় সে মিসকীন নয়। বরং প্রকৃত মিসকীন ঐ ব্যক্তি, যে মানুষের কাছে হাত পাতে না। প্রকৃত মিসকীনের স্বরূপ জানতে চাইলে এ আয়াত পাঠ করো- “তারা মানুষের কাছে কাকুতি মিনতির সাথে হাত পাতে না”- [সুরা আল-বাক্বারাহ্ ২:২৭৩]। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২২৬৩, ইসলামিক সেন্টার- ২২৬৩]
২২৮৫
আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ
এ সূত্রেও ইসমাঈল বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২২৬৪, ইসলামিক সেন্টার- ২২৬৪]