অন্যায় কাজ থেকে রাঃসাঃ পুতঃপবিত্র ছিলেন

অন্যায় কাজ থেকে রাঃসাঃ পুতঃপবিত্র ছিলেন

অন্যায় কাজ থেকে রাঃসাঃ পুতঃপবিত্র ছিলেন << নবুওয়তের মুজিযা হাদীসের মুল সুচিপত্র দেখুন

চতুর্দশ পরিচ্ছেদ: জাহেলী যুগের নানা অন্যায় কাজ থেকে রাঃসাঃ পুতঃপবিত্র ছিলেন।

জাবির ইবনু `আবদুল্লাহ রাদি. আনহু হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম [নবুওয়াতের পূর্বে] কুরাইশদের সাথে কা`বার [মেরামতের] জন্য পাথর তুলে দিচ্ছিলেন। তাহাঁর পরনে ছিল লুঙ্গী। তাহাঁর চাচা `আব্বাস রাদি. আনহু তাঁকে বলিলেন; ভাতিজা! তুমি লুঙ্গী খুলে কাঁধে পাথরের নীচে রাখলে ভাল হ`ত। জাবির রাদি. আনহু বলেন, তিনি লুঙ্গী খুলে কাঁধে রাখলেন এবং তৎক্ষণাত বেহুশ হয়ে পরলেন। এরপর তাঁকে আর কখনও বিবস্ত্র অবস্থাই দেখা যায়নি। [1]

যায়েদ ইবনু হারিসাহ রাদি. আনহু হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, কা`বা ঘরে `ইসাফ` বা `নায়েলা` মূর্তি ছিল। মুশরিকরা তাওয়াফের সময় তা স্পর্শ করত ও চুমো খেত। রাঃসাঃ কা`বা তাওয়াফ করিলেন, আমিও তাহাঁর সাথে তাওয়াফ করলাম। আমি যখন উক্ত মূর্তির কাছ দিয়ে যেতাম তখন তা স্পর্শ করতাম। তখন রাঃসাঃ আমাকে বলিলেন, এটা স্পর্শ কর না। যায়েদ রাদি. আনহু বলেন, আমি যখন তাওয়াফ করছিলাম তখন মনে মনে ভাবলাম, আমি মূর্তিটি স্পর্শ করব, দেখব রাঃসাঃ কি বলেন। তখন রাঃসাঃ বলিলেন, তোমাকে মূর্তি স্পর্শ করতে নিষেধ করা হয়নি? মুহাম্মদ ইবনু আমরের সনদে অন্যান্যরা আরো বলিয়াছেন, যায়েদ রাদি. আনহু বলেন, সেই সত্বার কসম, যিনি তাকে সম্মানিত করেছেন ও তাহাঁর উপর কিতাব নাযিল করেছেন রাঃসাঃকে আল্লাহ সম্মানিত ও কুরআন নাযিলের পূররে তিনি কখনও মূর্তি স্পর্শ করেননি। [2]


[1] সহিহ বুখারি, হাদিস নম্বর ৩৬৪, সহিহ মুসলিম, হাদিস নম্বর ৩৪০।

[2] দালায়েলুন নুবুওয়াহ লিলবাইহাক্বী, ২/৩৪। হাদীসটি হাসান।

Leave a Reply